রমজানে সামর্থ্যের মধ্যে দুধ-ডিম-মাংস কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ভোগাচ্ছে পুরো বিশ্বকে। এর প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতি তথা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ওপরও। নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এমতাবস্থায় স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য রোজায় প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টি সুবিধা নিশ্চিতে সর্বাত্নক চেষ্টা করছে সরকার।
জানা গেছে, রমজান মাসে ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আস্থার সঙ্গে সুলভ মূল্যে আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পেরে খুশি ক্রেতারাও। তারা বলছেন, এটি সরকারের বেশ ভালো একটি উদ্যোগ।
ক্রেতারা বলছেন, এখান থেকে মুরগির মাংস, গরুর মাংস আর ডিম নিতে পারছেন তারা অল্প দামে। বর্তমানে বাজারে যে দাম সেটা কেনা খুব কঠিন, সেই হিসাবে সুলভ মূল্যে পণ্য পেয়ে তাদের বেশ সুবিধা হচ্ছে।
রাজধানীর নতুনবাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি, খামারবাড়ি, আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি, ৬০ ফুট রোড, খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ, রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বছিলা, হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস মোড় (নাখালপাড়া), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা) এবং কামরাঙ্গীর চর এলাকায় সুলভ মূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বছর প্রাথমিকভাবে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল খামারবাড়ীর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর চত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।