ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণের ‘সাপ্তাহিক কিস্তি’ চক্র যখন ফাঁদ
মুন্সিগঞ্জের সোনিয়া গ্রামীণ ব্যাংক থেকে নিয়েছিলেন মাত্র আশি হাজার টাকার ক্ষুদ্র ঋণ। এই কিস্তি শোধ করতে তাকে ঋণ নিতে হয়েছে আরো প্রতিষ্ঠান থেকে। এভাবেই এখন সোনিয়ার ঘাড়ে ৩০ লাখ টাকার ঋনের বোঝা। শুধু সোনিয়া নয় ক্ষুদ্র ঋণের ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। কেউ বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথও। ড. ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণের ‘সাপ্তাহিক কিস্তি’ চক্রের ফাঁদে পড়ে এভাবেই ভুগছেন হাজারও মানুষ।
সূত্রমতে, দারিদ্র বিমোচনের স্বপ্ন দেখিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষদের ঋণ দিয়েছিলো ড. ইউনূসের এই ব্যাংকটি। তারপর সেই অসহায় মানুষটি ঋণের টাকা কোথাও বিনিয়োগ করার আগেই সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। অর্থাৎ লোন নেয়ার পরে কোনো আয় না হলেও সুদসহ সাপ্তাহিক কিস্তি দিচ্ছেন ঋণ গ্রহণকারীরা। এভাবেই গ্রামীণ ব্যাংকের ‘সাপ্তাহিক কিস্তি’ চক্রের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘কোনো গ্রাহক গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়ার পরে এক সাপ্তাহ যেতে না যেতেই সেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়,কিন্তু তাদের প্রশ্ন, এমন কোনো ব্যবসা কি আছে যার মাধ্যমে সাপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই মুনাফা অর্জন করে কিস্তি পরিশোধ করা যায়? ইউনূস গংরাতো বলেছিলেন, নারীদের স্বাবলম্বী করতেই তারা ঋণ দিচ্ছে! অথচ স্বাবলম্বী হবার জন্য প্রাপ্ত ঋণ কাজে লাগাবার আগেই তাদেরকে সেই ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে। এক ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে অন্য জায়গা থেকে তারা লোন নিয়ে থাকে।’
একটি ঋণ প্রদানের পরে সেটি বিনিয়োগ করে মুনাফা অর্জন করতে যে সময়টা দেয়া প্রয়োজন তা গ্রমীণ ব্যাংক গ্রাহকদের দিচ্ছে না। ফলে সাপ্তাহিক কিস্তির কারণেই গ্রাহকরা ঋণের জটলায় পড়ছেন। এটি করা হয়েছে মূলত; গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ যেন বকেয়া না থাকে সেই উদ্দেশ্যে।
এক গবেষণায় দেখা যায়, গ্রামীন ব্যতীত অন্য সংস্থার ঋণের আদায় হার মাত্র ৭০ শতাংশ। গ্রামীণ ব্যাংকের ক্ষুদ্র ঋণের আদায় হার ৯৮ শতাংশ। কাজেই গ্রামীনের এই সফলতার পেছনের রহস্য যে সাপ্তাহিক কিস্তি আদায়ের চাপ তা সহজেই অনুমেয়।