‘মার্কিনিদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না। ওরা অন্য দেশের নির্বাচন নিয়ে মাতব্বরি করছে কিন্তু নিজের দেশের অবস্থা টলমল। বাংলাদেশের জনগণই বাংলাদেশের নির্বাচন নির্ধারণ করবে।’
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ‘রুখো আমেরিকা, রুখো বিএনপি-জামায়াত’ দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও এই শ্লোগানে দেশজুড়ে পক্ষকালব্যাপী কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে বক্তব্য প্রদানকালে দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এসব কথা বলেছেন।
মেনন বলেন, ‘ভিসানীতি বা বিএনপির আন্দোলন কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, এই মুহূর্তের চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি কমানো। দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। ডেঙ্গুর বিস্তার রোধের জন্য এখন মনোযোগ দিতে হবে। এটা করা গেলে জনগণের মধ্যে যে পরিমাণ অসন্তোষ রয়েছে সেটা দূর হয়ে যাবে। জনগণই নিজ দায়িত্বে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে। সেই লক্ষেই সব গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি।’
দ্রব্যমূল্য রোধে টিসিবির সরবরাহ বৃদ্ধির কথা বলেন মেনন।
পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক কমরেড কিশোর রায়ের সভাপতিত্বে ও কমরেড মামুন মোল্লার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- পার্টি পলিটব্যুরোর সদস্য শ্রমিক নেতা কমরেড কামরুল আহসান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য কমরেড কাজী আনোয়ারুল ইসলাম টিপু, কমরেড মুর্শিদা আখতার নাহার, কমরেড তাপস দাস, কমরেড তপন সাহা ও কমরেড কাজী মাহমুদুল হক সেনা।
এছাড়াও সংহতি বক্তব্য দেন ছাত্রনেতা ইমরান নুর নিরব প্রমুখ। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে ও মহানগরবাসীর জীবন-জীবিকার সংকট মোচনের লক্ষে প্রচারপত্র বিলি করা হয়।