ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ইউনুসের হাত!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:১৭, সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

বিএনপি জামায়াত যখন লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিলো, কারা, কখন তা নিয়োগ দিলো সেই তথ্য বেরিয়ে এসেছিলো। কারণ লবিস্ট নিয়োগ দিলে সেখানে ফাইল নথিভুক্ত হয়। সেই সূত্র ধরেই মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ড. ইউনূসের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে।

 

 

 

গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ ছাড়ার পর থেকে বাংলাদেশ তথা সরকারের উপর আক্রোশের বশবর্তী হয়ে একের পর এক অভিযানে নামেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস। প্রথমে পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য চিঠি দিয়েছিলেন তিনি, যা এখন প্রমাণিত সত্য। তবে এবার সামনে এলো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গেল মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি আরোপ করেছিল সেখানেও হাত রয়েছে তাঁর। তিনি লবিংয়ের মাধ্যমে এই চেষ্টা করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন, খোদ বর্তমান সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাথে সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টি তথা জো বাইডেন প্রশাসনের ভেতরের মধ্যে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা থাকেন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন। পারিবারিকভাবেই ক্লিনটন পরিবারের সাথে ড. ইউনূসের যথেষ্ট সু-সম্পর্ক। এই সু-সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েই সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিছান ড. ইউনূস। কারণ তিনি জানেন যে তার অনেক অপকর্ম বেরিয়ে আসছে এবং আসবে।

বিএনপি জামায়াত যখন লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিলো, কারা, কখন তা নিয়োগ দিলো সেই তথ্য বেরিয়ে এসেছিলো। কারণ লবিস্ট নিয়োগ দিলে সেখানে ফাইল নথিভুক্ত হয়। বিএনপি জামায়াতের লবিস্টরা নথিতে যেসব তদবির বা রিপ্রেজেন্টেশন দিয়েছেন ড. ইউনূসও ঠিক একই কারণ দেখিয়েছেন তার রিপ্রেসেন্টেশনে,  যার তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে এবং সেই সূত্র ধরেই মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ড. ইউনূসের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি শীঘ্রই  প্রমান হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ধারণা ছিল মার্কিন ভিসানীতির কারণে অনেক রাজনৈতিক দল যারা জ্বালাও-পোড়াও করেছে তারা সতর্ক হয়ে যাবে। সে হিসাবে অবশ্যই এটাকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি। কিন্তু সার্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে একে ঘিরে বিভিন্ন বিধি-নিষেধাজ্ঞায় দেশ  ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি স্বাধীন সার্বভৌম ও গণতান্ত্রীক দেশে এটা কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। আর এই অনৈতিক কাজগুলোই প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন ড. ইউনূস।

Share This Article