স্পট মধুখালী: কোনো হিন্দু নয়, দুই ভাইকে প্রথম আঘাত করেছিলেন চেয়ারম্যান!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩৭, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩০
  • ফরিদপুরে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম দুই ভাইকে হত্যা
  • হত্যার ঘটনা পুরো দেশকেই নাড়িয়ে দিয়েছে
  • সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়
  • সরকারের তড়িৎ ব্যবস্থায় স্তিমিত হয় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা
  • এই ঘটনার সূত্রপাত কিভাবে?
  • পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি গুজবের বলি হলেন দুই কিশোর?

গত ১৮ এপ্রিল ফরিদপুরের মধুখালীতে সন্দেহ বশে বেধড়ক মারধর করলে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়, যা নিয়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়। যদিও সরকারের তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণে তা স্তিমিত হয়। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে এই ঘটনার সূত্রপাত কিভাবে? পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড নাকি গুজবের বলি হলেন দুই কিশোর? 

এ নিয়ে নানা সন্দেহের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। মুসলিম সংখ্যা ঘরিষ্ঠ দেশে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিম দুই ভাইকে হত্যার ঘটনা পুরো দেশকেই নাড়িয়ে দিয়েছে।

সেই হামলা থেকে বেঁচে ফেরা নসিমন চালক লিটন মোল্লা জানান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কারও কথা না শুনেই লোহার পাইপ দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক আশরাফুলকে পেটাতে শুরু করেন।

তিনি বলতে থাকেন, তোর কতো বড় সাহস, তুই মন্দিরে আগুন দিস। দাঙ্গা সৃষ্টি করিস, এসব বলতে বলতে মেরে আশরাফুলকে মাটিতে ফেলে দেন। পরে শ্রমিক আনোয়ারকেও মারধর করেন। মেম্বার অজিৎ কুমারও আরেক ভাই আরশাদুলকে কাঠ দিয়ে পেটাতে থাকেন।

তখন স্থানীয়রা আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। কিছু লোক জানালা দিয়েই ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ইট-পাটকেল থেকে বাঁচতে চেয়ারম্যান ওই রুম থেকে বের হয়ে যান। পরে লাঠিসোটা নিয়ে শত শত মানুষ রুমে প্রবেশ করে বেধড়ক পেটাতে থাকে। রড ও ইট দিয়ে আরশাদুল, আশরাফুল ও আনোয়ারের হাত-পা ভেঙে দেয়। মাথা থেতলে দেয়। নিহত হয় দুই ভাই আরশাদুল ও আশরাফুল। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নসিমন চালক বলেন, আমি অন্ধকারে সিঁড়ির নিচে লুকিয়ে ছিলাম, তাই বেঁচে যাই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো লোক আরশাদুল ও আশরাফুলকে আঘাত করেননি প্রথমে। চেয়ারম্যান আঘাত করার পরে অন্যরাও দুই ভাইকে মারার সাহস পায় এবং মারতে থাকে।  

তবে এই ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হলেও চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও মেম্বার অভিজিৎ কুমারকে আসামী না করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, চেয়ারম্যান রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করেছেন। আইনকে নিজের হাতে নিয়ে খেটে খাওয়া দুইজন দিন মুজুরকে হত্যার উস্কানি দিয়েছেন। এই দুস্ককৃতিকারী চেয়ারম্যানকেই হত্যাকারী হিসেবে আগে গ্রেফতার করা উচিৎ বলেও মনে করেন তারা।

Share This Article


শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনায় মসৃণভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন: মার্কিন থিংক ট্যাংক

মোমবাতি জ্বালিয়ে সেহরি-ইফতার খাবারের দিন এখন অতীত!

ভিসা নিষেধাজ্ঞায় ইউনুসের হাত!

ঈদযাত্রায় স্বস্তি আনতে ১৫ বছরে সরকারের যত উদ্যোগ

বৃদ্ধির পথে রিজার্ভ: বাড়ল ৫১ কোটি ডলার!

গ্রামীণ ফোনের ইনকামিং কল চার্জ বন্ধ করলেও বিদেশী বন্ধুদের দ্বারা সরকারকে থ্রেট দিয়েছিলেন ইউনুস!

পোশাকের নতুন বাজার: আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ১০ গুণ বেড়েছে রপ্তানি!

পাহাড়ে ‘কেএনএফ’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আসলে কারা?

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় শঙ্কা: বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়

প্রধানমন্ত্রীর মুখে গ্রামীন ফোন নিয়ে ধোঁকাবাজির গল্প!

কেমন আছে ইউনুসবিহীন গ্রামীন ব্যাংক?