বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় শঙ্কা: বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:৩০, রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪, ১৭ চৈত্র ১৪৩০

বৈশ্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতির পারদ যেন বেড়েই চলছে। বিশ্বজুড়ে নানা সংকটে খাদ্যপণ্যের দাম না কমায় আবারও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বড় রকমের শঙ্কা। বিশ্বব্যাংক বলছে, বর্তমানে বিশ্বের ৬০ শতাংশ নিম্নআয়ের দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের উপরে অবস্থান করছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অশনি সংকেত বহন করে। তবে খাদ্য নিরাপত্তায় বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
 

বিশ্ব ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে উৎপাদিত খাদ্যশস্যের মধ্যে গত চার বছরে সবচেয়ে বেশি ৫০ শতাংশ দাম বেড়েছে চালের। দিনকে দিন চালের উৎপাদন কমে আসায় এবং বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক দেশ ভারত চালের ওপর লাগাতার রফতানি নিষেধাজ্ঞা ও অযাচিত শুল্ক আরোপ করায় ধারণা করা হচ্ছে, আগামীতে চালের সংকটে পড়বে বিশ্ব।
  
ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর মতে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ভাত খায় বাংলাদেশের মানুষ। এখানকার মানুষ বছরে মাথাপিছু ২৫৭ কেজি ৪৮ গ্রাম ভাত খেয়ে থাকে। তবে পর্যাপ্ত ধান উৎপাদন হওয়ায় চাল নিয়ে দেশটির শঙ্কা নেই। কেননা সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে মোট চাল উৎপাদন তিন কোটি ৯১ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। আর দেশে বার্ষিক চালের চাহিদা রয়েছে মাত্র ২ কোটি টন। অর্থাৎ এক কোটি ৯১ লাখ টন চাল সাশ্রয় হয়েছে।

সূত্র মতে, আলু উৎপাদনে বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ আর এশিয়ায় তৃতীয়। দেশের প্রধান খাদ্যপণ্যের মধ্যে আলু একমাত্র উদ্বৃত্ত ফসল। দেশে চাহিদার চেয়ে বছরে প্রায় ২০-২৫ লাখ টন আলু বেশি উৎপাদন হয়। এছাড়া বাংলাদেশে বার্ষিক পেঁয়াজের চাহিদা ২৮ লাখ টন, আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৬ লাখ টন। সুতরাং বিশ্বে খাদ্য সংকট থাকলেও  উৎপাদন সক্ষমতা থাকায় এর কোনো প্রভাব পড়বেনা  বাংলাদেশে।
    
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক রুমানা হক বলেন, ‘দেশে যথেষ্ট পরিমাণে চাল, আলু ও পেয়াজের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যদ্রব্য উদ্বৃত্ত রয়েছে। তাছাড়া উৎপাদন সক্ষমতা বেশ ইতিবাচক হওয়ায় বিভিন্ন কৃষিপণ্য এখন প্রায় ১২মাসই হাতের নাগালে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বিশ্বে খাদ্য সংকট থাকলেও বাংলাদেশে এই দিক থেকে নিরাপদে আছে। কেননা বেশ সন্তোষজনক উৎপাদন হয় দক্ষিণ এশিয়ায় এই দেশটির।

Share This Article