গাজীপুরে রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষকের বাজিমাত

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৫২, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪, ২০ ফাল্গুন ১৪৩০

 পর্যাপ্ত কৃষি জমি থাকলেও মাত্র ২ শতক জমিতে কাজ শুরু করি। কৃষি অফিস থেকে পাওয়া বীজ দিয়ে প্রায় ২০০ রঙিন ফুলকপির চারা লাগিয়েছিলাম। সবগুলোই ভালোভাবে বড় হয়েছে। এখন বাজারে ৬০ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি করি। সেগুলো আবার খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা কেজিতে। আগামীতে কৃষি অফিসের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে ২০ শতক জমিতে শুধু রঙিন ফুলকপি চাষ করব।

পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপির চাষ করে সফল হয়েছেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বির্তুল গ্রামের কৃষক মো. আলী হোসেন। প্রতিবছর সাদা ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকলির চাষ করলেও এবার তার ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি।  

স্থানীয় বাজারেও বেশ সাড়া ফেলেছে রঙিন এই ফুলকপি। কৌতূহলবশত কিনছেন অনেকে, বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে। আশানুরূপ দাম পাওয়ায় আলী হোসেন নিজেও খুশি। তাকে দেখে আশপাশের কৃষরাও রঙিন ফুলকপি চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।  

gazipur-4

তিনি বলেন, রঙিন ফুলকপি চাষে প্রথমে সাহস পাচ্ছিলাম না। লোকসানের ভয় ছিল। পরে স্থানীয় কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শে উদ্যোগী হই। প্রথমবারেই আমার সফলতা দেখে এখন অন্য কৃষকরাও উৎসাহ পাচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত কৃষি জমি থাকলেও মাত্র ২ শতক জমিতে কাজ শুরু করি। কৃষি অফিস থেকে পাওয়া বীজ দিয়ে প্রায় ২০০ রঙিন ফুলকপির চারা লাগিয়েছিলাম। সবগুলোই ভালোভাবে বড় হয়েছে। এখন বাজারে ৬০ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি করি। সেগুলো আবার খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা কেজিতে। আগামীতে কৃষি অফিসের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে ২০ শতক জমিতে শুধু রঙিন ফুলকপি চাষ করব।

gazipur-1 
 
গ্রামের আরেক কৃষক রোপণ শেখ বলেন, আলী হোসেনের রঙিন ফুলকপির ক্ষেত দেখতে আসছেন অনেকে। কেউ-কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ আবার ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন। আমাদের গ্রামে এ ধরনের সবজি চাষ এবারই প্রথম। 

নাগরী ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মনির উদ্দিন মোল্লা বলেন, আমাদের কৃষি অফিসারের পরামর্শ অনুযায়ী এবারই প্রথম রঙিন ফুলকপির বীজ সংগ্রহ করে কৃষক আলী হোসেনকে দিয়েছি। তিনি ২০০ চারা রোপণ করেছেন। পরীক্ষামূলক চাষে ফলন দেখে কৃষক খুশি। আশপাশের কৃষকরাও এ রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

gazipur-3  

কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফারজানা তাসলিম বলেন, স্থানীয় একজন কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করায় আমরা পরীক্ষামূলকভাবে তাকে এটি করতে সহায়তা করেছি। এতে বাড়তি কোনও খরচ নেই। সাদা ফুলকপি চাষের মতই খরচ। 

তিনি আরও বলেন, রঙিন ফুলকপি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। বিশেষ করে- বেগুনি কালারের ফুলকপি যেগুলো, তা আমাদের শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি দেখতে খুব সুন্দর, যে কারণে মাঠে দেখার জন্য অনেকেই ভিড় করছে। আবার অন্যান্য কৃষকরাও এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article