শেরপুরে মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের হাসি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৩৬, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২ পৌষ ১৪৩০

উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৫৫ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরিষার আবাদ হয়েছিল ৮০৭ হেক্টর। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১২১০ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছিল।

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় নীল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুল। সকালের সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সরিষা ফুলের সমারোহে হেসে ওঠে চারদিক। হলুদ ফুলে ফুলে মৌমাছিরাও মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। প্রকৃতির অলঙ্কার হয়ে উঠেছে হলুদ সরিষা ফুলে।

উপজেলা কৃষি অফিস ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৫৫ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরিষার আবাদ হয়েছিল ৮০৭ হেক্টর। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১২১০ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছিল। আর ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ১৮১৮ হেক্টর লক্ষ মাত্রা ছিলো। কিন্ত লক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে ২ হাজার ১২৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।


চলতি বছরে ৫ হাজার ৬০০ জন কৃষকের মাঝে সরিষার উফশী জাতের বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে ৪০০ জন কৃষকের মাঝে  শুধু এক কেজি সরিষা বীজ দেওয়া হয়। 


সরেজমিন সরিষা জমিতে দেখা যায়, পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে। ফুলগুলোর তাদের কলি ভেদ করে সুভাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে। এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলা ভ‚মি। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখছেন। কেউবা আবার মোবাইলফোনে সেলফি তুলছেন।
মরিচপুরান গ্রামের মো.ইউনুছ আলী(৪০)বলেন, সরিষা চাষ করতে প্রতি একরে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর ২০-২২ মন সরিষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একমন সরিষা বর্তমান বাজার মুল্য রয়েছে দুই হাজার সাতশত থেকে তিন হাজার টাকা। সরিষা চাষে যে সার আমরা ব্যবহার করি, পরবর্তীকালে বোর ধান রোপনের সময় সার বেশি দেওয়া লাগে না। এতে আমাদের খরচ কিছুটা কমে যায়। 


একাধিক কৃষকের সঙ্গে বলে জানা যায়, প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি ও বিনার উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর ফলন বেশি। এ কারণে এতে চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন। অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করছেন। এরপর আবার বোরো ধান রোপণ করতে পারছেন। এতে একই জমিতে বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নালিতাবাড়ীতে এ বছর ২ হাজার ১২৭ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৯১৭ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার সরিষার ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। সাধারণত মাঘ ও ফাল্গুন মাসে কৃষকরা ঘরে সরিষা তুলতে পারবেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article