ঈদযাত্রায় স্বস্তি আনতে ১৫ বছরে সরকারের যত উদ্যোগ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৫২, শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪, ২৩ চৈত্র ১৪৩১

গত ১৫ বছরে জেলা আঞ্চলিক ও জাতীয় পাকা মহাসড়ক প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মহাসড়কের দুই লেনের রাস্তাগুলোকে চার লেনে উন্নিত করা হয়েছে। এই সময়ে ৫ হাজার ৬৫৯টি সেতু ও ৬ হাজার ১২২টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। একই সাথে বিস্তৃত হয়েছে রেল নেটওয়ার্কও। ফলে ঢাকা ছাড়তে মানুষকে আর ঝামেলা পোহাতে হয়না।



 

 

দেশে ঈদযাত্রা ছিল এক দুঃস্বপ্নের  নাম। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে পোহাতে হতো নানা দুর্ভোগ। তবে শেখ হাসিনা সরকারের উদ্যোগে এই দুর্ভোগ অনেকটাই কমে এসেছে। একের পর এক মহাসড়কের মতো অবকাঠামো নির্মাণের ফলে অনেকটা স্বস্তিতেই বাড়ি যেতে পারেন ঘরমুখো মানুষ। পথে ভোগান্তি কমাতে ও ঈদযাত্রায় এবার নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের এখন আর ঈদে বাড়ি যেতে ফেরি পার হওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছেনা, পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের ১৯টি জেলার সরাসরি সংযোগ চালু হওয়ায়। এতে ভোগান্তি ছাড়াই ঈদে বাড়ি যাচ্ছে মানুষ।

উত্তরবঙ্গে প্রতি বছর ঈদ এলেই বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মহাসড়ক পাড়ি দিতে যাত্রী ও চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে থাকতে হয়। তবে এখন সেখানে ‘জয়দেবপুর-এলেঙ্গা’  চার লেনের সড়কে অনেকটাই স্বস্তি দিতে সক্ষম হয়েছে ঈদে ঘর মুখো মানুষদের। মহাসড়কটিতে সাতটি ফ্লাইওভার ও ১১টি আন্ডারপাস তৈরি করা হয়েছে। এসব অবকাঠামো ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের যানজট লাঘবের পাশাপাশি মহাসড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও উন্নত করেছে।  

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে গত বছর টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটারের এই বঙ্গবন্ধু টানেলটি পতেঙ্গার সঙ্গে আনোয়ারাকে সংযুক্ত করেছে। কক্সবাজার যেতে এখন আর চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করতে হয় না। এতে ঢাকা থেকে কক্সবাজারের সড়ক পথের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার কমেছে, সাশ্রয় হচ্ছে এক ঘণ্টার বেশি সময়।

গত ১৫ বছরে জেলা আঞ্চলিক ও জাতীয় পাকা মহাসড়ক প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মহাসড়কের দুই লেনের রাস্তাগুলোকে চার লেনে উন্নিত করা হয়েছে। এই সময়ে ৫ হাজার ৬৫৯টি সেতু ও ৬ হাজার ১২২টি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। একই সাথে বিস্তৃত হয়েছে রেল নেটওয়ার্ক। বিভিন্ন রুটে নতুন ট্রেন সার্ভিস ও রুট বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকার সাথে দক্ষিণাঞ্চল ও কক্সবাজারের রেল নেটওয়ার্কে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এখন ঈদযাত্রায় সব টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। স্টেশনে লাইন দিয়ে টিকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না।

এদিকে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরের যানজট নিরসনে ইতোমধ্যে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ের পাশাপাশি ছোট- বড় বহুসংখ্যক উড়ালপথ বা ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী হয়ে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত চলমান বিআরটি প্রকল্পের আটটি ফ্লাইওভারের মধ্যে সাতটি ফ্লাইওভার গত ২৫ মার্চ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।ফলে ঢাকা ছাড়তে মানুষকে আর ঝামেলা পোহাতে হয়না।

Share This Article