পাহাড়ে ‘কেএনএফ’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আসলে কারা?

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৩৮, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ২২ চৈত্র ১৪৩১

দেশের একমাত্র পাহাড়ি জনপদ পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে অস্থিরতা যেন থামছেই না। এক সময় শান্তিবাহিনী আর সাম্প্রতিক সময়ে ‘পাহাড়’ অস্থিতিশীল করে তুলেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।
 

গত ২ এপ্রিল রাতে বান্দরবানের রুমায় একটি ব্যাংকে হানা দিয়ে ম্যানেজারকে অপহরণ এবং আনসারদের লুট করে ত্রাস ছড়িয়ে দেয় কেএনএফ। এখানেই তারা থেমে থাকেনি। পরদিনই তারা থানচি উপজেলার দুটি ব্যাংকে হানা দিয়ে রীতিমত লুণ্ঠন করে। এমন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে ‘কেএনএফ’ কারা এবং কাদের মদদে এই সশস্ত্র সংগঠনটি চলছে?

সূত্র মতে, কেএনএফ ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ২০২২ সালে। ভারতের মিজোরাম মণিপুর রাজ্য সীমান্তে তাদের তৎপরতা বেশি।  তবে সংগঠনটি পার্বত্য অঞ্চলের প্রায় অর্ধেক নিয়ে বেআইনি এবং মনগড়া মানচিত্রও তৈরি করেছে। তাদের এই মানচিত্রের তিন পাশে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত। এছাড়া কেএনএফ এর সাথে ভারতীয় ও মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের।

এমনকি কুকি চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের কতিপয় সরকার বিরোধী রাজনৈতিক নেতার সখ্যতা রয়েছে বলেও শোনা যায়। এছাড়া সুশিল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তাদের যোগসাজস রয়েছে। কারণ তারা নিয়মিত কুকি চিন তথা কেএনএফ এর কাছ থেকে চাঁদাবাজির টাকার ভাগ পান বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘কুকি চিনের সঙ্গে জেএসএস (মূল), জেএসএস (সংস্কার) ইউপিডিএফ (মূল), ইউপিডিএফ (সংস্কার)ও নৈরাজ্য চালাতে ইন্ধন যোগায়। বাংলাদেশ থেকে পার্বত্যাঞ্চলকে পৃথক করার ষড়যন্ত্রে তারা ঐক্যবদ্ধ।  তারা দেশের জন্য বড় ধরণের হুমকি। তাদের সম্প্রতিক কর্মকান্ড দেশের মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি করেছে।কাজেই মানুষের জান- মাল রক্ষা এবং দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাদের নির্মূল করতে সরকারের পক্ষ থেকে এখনই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

Share This Article