যে কারণে স্থায়ী জামিন পাননি ইউনূস

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:০৯, বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩০
  • স্থায়ী জামিনের সময় ও বৈশিষ্ট্য পূরণ হলেই ড. ইউনূসও পারেন
  • তিন মাসে শেষ হওয়া মামলা শেষ হয়েছে তিন বছরে।
  • ড. ইউনূসকে টার্গেট বা হয়রানি করার কোনো প্রশ্নই আসে না
  • সাক্ষীদের জেরা, যুক্তিতর্ক ও শুনানি হয়েছে

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেয়নি আদালত। স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হয় গত ১৬ এপ্রিল।

এদিকে স্থায়ী জামিন না দেয়ায় সরকারের দিকে আঙ্গুল তোলেন ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, এতে ন্যায়বিচার থেকে ড. ইউনূস বঞ্চিত হয়েছেন। তাকে টার্গেট করে হয়রানি করা হচ্ছে। তবে ড. ইউনূসকে টার্গেট বা হয়রানি করার কোনো প্রশ্নই আসে না বলে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।

তিনি জানান, ড. ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠানের যারা কর্মকর্তা ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে মামলা হয়েছিল। তাদের নোটিশ করা হয়েছিল, সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপর শ্রম আইনে নিয়মিত মামলা হয়। সেই মামলার সাক্ষীদের জেরা, যুক্তিতর্ক ও শুনানি হয়েছে। তিন মাসে শেষ হওয়া মামলা শেষ হয়েছে তিন বছরে। পরে শ্রম আদালত তাকে ছয় মাস জেল ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

খুরশীদ আলম আরও বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন তারা। পরে আদালত পুরো রায় বাতিল ও স্থগিত করেন। তাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় কলকারখানা অধিদপ্তর। হাইকোর্ট রুল জারি করেন। পরে তা বাতিল করেন। সুতরাং এখানে আপিলের শুনানির জন্য ছিল, তারা আদালতে এসেছেন। তিনি একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এখানে কাউকে হয়রানি অথবা টার্গেট করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

অন্যদিকে ড. ইউনূসের স্থায়ী জামিন না হওয়া প্রসঙ্গে আইনবিদরা বলছেন, আইনী দিকের বাইরেও যেহেতু ড. ইউনূস একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তাই এই ক্ষেত্রে তিনি স্থায়ী জামিন নিয়ে দেশের বাইরে গিয়ে আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতে পারেন। গড় পড়তায় এক-দেড় মাসের বেশি তিনি দেশে থাকেন না। এছাড়া অল্প সময়ের মধ্যে স্থায়ী জামিন হয় না। হাজিরার ন্যুনতম কোটাও পূরণ করেননি তিনি। এসব কারণেই তিনি স্থায়ী জামিন পাননি। তবে স্থায়ী জামিনের জন্য যে সময় ও বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা পূরণ হলেই ড. ইউনূসও স্থায়ী জামিন পেতে পারেন বলে জানান আইন বিশ্লেষকরা।  

উল্লেখ্য, শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ১ জানুয়ারি ছয় মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসসহ চার আসামির। ৮৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, আসামিরা শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ৪(৭) (৮), ১১৭, ২৩৪ এর বিধান লঙ্ঘন করে আইনের ৩০৩(৫) ও ৩০৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আসামিদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেয়া হয়। পরে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের জামিন দেয়া হয়।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article