মোমবাতি জ্বালিয়ে সেহরি-ইফতার খাবারের দিন এখন অতীত!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৫৯, সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

বর্তমানে রোজাদাররা বেশ স্বস্তিতেই ইবাদাত-বন্দেগি করছেন। বিদ্যুৎ নিয়েও কারও অভিযোগ নেই।

একসময় রমজান মাস এলেই বেড়ে যেতো লোডশেডিং। নিয়ম মেনে গড় ১৩-১৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎহীনতায় অন্ধকারে থাকতেন দেশের সাধারণ মানুষ। সেহরি-ইফতারও খেতে হতো মোমবাতি বা হারিকেন জ্বালিয়ে। ২০০১-০৬ তথা বিএনপির শাসনামলে গ্রাম-শহরের এমন চিত্র ছিল চিরচেনা। এখন দিন বদলেছে। বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদনও। মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে এ খাতে সমবণ্টন আর দুর্নীতি কমার কারণেই সেসব দিন অতীত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য বলছে, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা ১৬০০ থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ২০০১-০৬'এ তা নেমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৭৮২ মেগাওয়াটে। উৎপাদন না বাড়ায় সেই সময় ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছিল জনপদ। একই সঙ্গে জুন-জুলাই বা গ্রীষ্মে রোজা থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খেয়েছিল বিদ্যুৎ অফিস। তবে ২০০৯ সালে ফের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসতেই ধীরে ধীরে কমতে থাকে এসব সমস্যা। বর্তমানে রোজাদাররা বেশ স্বস্তিতেই ইবাদাত-বন্দেগি করছেন। বিদ্যুৎ নিয়েও কারও অভিযোগ নেই।

সচেতন মহল বলছে, মাত্র ২৮ শতাংশ সুবিধাভোগীকে ঠিকমতো বিদ্যুৎ দিতে পারেনি বিএনপি সরকার। তখন রোজায় এলে চারিদিকে হাহাকার দেখা দিতো। এমনকি ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইফতার বা সেহরি সাজিয়ে বসতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়তেন। আর এখন শতভাগ বিদ্যুতায়নের দেশে যৌক্তিক কারণে দু-এক ঘণ্টা সমস্যা দেখা দিলেই বিএনপি নেতারা বিভিন্ন ধরনের কথা বলে বেড়ান। সরকারের ঘাড়েও দোষ চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। অথচ বৈদ্যুতিক খাম্বা লাগিয়ে নিজেদের প্রধান নেতা তারেক রহমানের ২০ হাজার কোটি টাকা পাচারের ইতিহাস যেন তারা ভুলে গেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতে লোডশেডিং হওয়ার অন্যতম কারণই ছিল সীমাহীন দুর্নীতি। কিন্তু গেল ১৫ বছরে দেশে নানামুখী উন্নয়ন হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ খাতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই এসব সম্ভব হয়েছে। কেননা সব খাতেই তার সুদৃষ্টি রয়েছে। এজন্য ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থাকা সত্ত্বেও এখন আর তেমন লোডশেডিং নেই বলে মনে করছেন তারা।

Share This Article