নির্দলীয় উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন দলের বর্জন কি তাৎপর্যপূর্ণ?
- উপজেলা নির্বাচন এবার দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না
- নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ও ১২ দলীয় জোট
- হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তে বিব্রতকর ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় কর্মীরা
- দল হিসেবে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বোকামি ও দেউলিয়াত্বের শামিল
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি ও ১২ দলীয় জোট। ১৬ এপ্রিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদা স্বাক্ষরিত আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাচন এবার দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। এমন একটি নির্বাচন বিএনপি ও তাদের মিত্ররা কেন বর্জন করলো? এ বর্জনের ফলে কি লাভ হবে তা নিয়েও চলছে ব্যাপক আলোচনা।
জানা গেছে, তিন দফা উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফায় বিএনপির দলীয় পদ পদবী রয়েছে এমন ৪৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। আর পদ পদবীর বাইরের আরও ৭৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। হাইকমান্ডের ভোট বর্জানের সিদ্ধান্তে এখন তারা বিব্রতকর ও কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
সূত্র বলছে, যারা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন তারা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপি নমনীয় থাকবে। কিন্তু হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত তাদেরকে হতাশ করেছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সারাদেশের নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
সমালোচকরা বলছেন, নির্দলীয় উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন দলের বর্জন কোনো তাৎপর্য বহন করে না। সেটা আক্ষরিক হোক বা বাস্তবিক অর্থেই হোক। কারণ সব দলের দাবির মুখে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল এখন সেই দাবি না থাকায় তা বাতিল করা হয়েছে। তাই দলীয়ভাবে নির্বাচনে না যাওয়ার দাবি অযৌক্তিক।
এছাড়া সরকারও বিএনপি বা বিরোধী কোন জোটকে নির্বাচনে আসার আহ্বানও করেনি। নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই ব্যক্তিগত। এখানে দল হিসেবে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা বোকামি ও দেউলিয়াত্বের শামিল বলে মনে করছেন সমালোচকরা।