জাতীয় দলে ফিরছেন তামিম, তবে...
গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড-বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের সভা শেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে ছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা না ফেরা নিয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে বসবেন একধাকি বোর্ড পরিচালক। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ-বিপিএলের ফাইনাল শেষে প্রায় একই কথা বলেন তামিম ইকবালও।
তবে এরপর লন্ডনে চলে যান দেশসেরা ওপেনার। সেখান থেকে ফিরে ব্যস্ত হয়ে যাবেন সোমবার থেকে শুরু হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ-ডিপিএলের জন্য। রোববার সকালে মাসকো সাকিব একাডেমিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের অনুশীলনে যোগ দেন তিনি। চলতি মৌসুমে ডিপিএলে দলটিকে নেতৃত্ব দেবেন ৩৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
অবশেষে রোববার রাতে বিসিবির দুই পরিচালক জালাল ইউনুস ও এনায়েত হোসেন সিরাজের সঙ্গে সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দেশসেরা এ ওপেনার। সেই বৈঠক থেকে আসেনি কোনো সুসংবাদ। অন্তত এমনতাই দাবি করেছেন দেশের বেশ কিছু গণমাধ্যম।
দেশের একটি গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে বলেছেন, তামিম, বিসিবিকে যা বলার বলে দিয়েছেন। এখন সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড। একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে তামিমকে বলতে শোনা যায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা তার জন্য বেশ কঠিন।
এদিকে কয়েকটি গণমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, চলতি বছরে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেই তামিমের। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্ল্যান-এফটিপি অনুযায়ী চলতি বছর ৬টি ওয়ানডে রয়েছে বাংলাদেশ। এমন অবস্থায় তামিমের জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তামিমকে ফেরাতে বেশ উদ্যোগী বিসিবির কর্মকর্তারা। তবে এই উদ্যোগে এখনো পূর্ণ আস্থা স্থাপনের মতো অবস্থা তৈরি হয়নি বলে দুই পরিচালকে জানিয়েছেন তামিম। তাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাঁহাতি এই ওপেনারের ফেরার সম্ভাবনা আপাতত নেই বললেই চলে।
তবে আগামী বছর পাকিস্তানে হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার ইচ্ছে তামিমের। তার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কোনো ইচ্ছাই নেই বাঁহাতি এই ওপেনারের।
তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন না তামিম।
অবশ্য আফগানিস্তান সিরিজের মাঝপথে আচমকা অবসর ঘোষণার পর তিনি নিজেই বলেছিলেন, একবার অবসর নিয়েছি। আর কত, আর অবসর নেব না।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর না নিয়ে একরকম প্রতিবাদ করছেন মাশরাফী। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে দেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক রান করা ক্রিকেটারের নাম। অভিমান নাকি দেশের ক্রিকেটের সিস্টেমেই কোনো গলদ আছে- এটা ভাবা অত্যন্ত জরুরি।