হুন্ডি ব্যবসায়ী ও গ্রহীতা উভয়েই যখন দেশের শত্রু
- অবৈধভাবে দেশে রেমিট্যান্স ঢুকছে হুন্ডির মাধ্যমে
- রিজার্ভ সঙ্কটের জন্য রফতানির থেকে আমদানি বেশি হচ্ছে
- হুন্ডি ব্যবসায়ী ও গ্রহীতা উভয়েই দেশের শত্রু
- বাড়ছে দ্রব্যমূলের দাম ও জীবন যাত্রার ব্যয়
- অর্থনৈতিক ভারসাম্য ভেঙে যাচ্ছে
- আর্থিক বিশৃঙ্খলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের মানুষ
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আলোচিত একটি ইস্যু রিজার্ভ সঙ্কট। রিজার্ভ সঙ্কটের জন্য রফতানির থেকে আমদানি বেশি হওয়ার পাশাপাশি আলোচিত হচ্ছে দেশ থেকে টাকা পাচার ও বিদেশ থেকে অবৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর বিষয়টি। আর এসবের সঙ্গে জড়িত 'অবৈধ হুন্ডি' ব্যবসায়িরা। তাদের এই কর্মে না জেনেই সহায়তা করছেন সেবা গ্রহীতারা।
দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাচার ও বিদেশ থেকে অবৈধভাবে দেশে রেমিট্যান্স ঢুকছে হুন্ডির মাধ্যমে। ফলে সরকার একদিকে বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব থেকে। পাশাপাশি প্রবাসীরা তাদের আয় দেশে পাঠালেও হুন্ডির কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডারে তা যোগ না হওয়ায় ঘাটতি দেখা দিচ্ছে রিজার্ভে।
ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থও ব্যবসায়ীরা বিদেশে পাচার করছে হুন্ডির সহায়তায়। তবে বৈধ অর্থও বিদেশে পাঠানোর জন্য হুন্ডির সহায়তা নিচ্ছেন অনেকেই। অনেক প্রবাসীই স্থায়ীভাবে বিদেশে থাকার জন্য দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হুন্ডি ব্যবসায়ী ও গ্রহীতা উভয়েই দেশের শত্রু। কারণ ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ না আসায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দ্রব্যমূল্যে। বাড়ছে দ্রব্যমূলের দাম ও জীবন যাত্রার ব্যয়। অর্থনৈতিক ভারসাম্য ভেঙে যাচ্ছে, আর্থিক বিশৃঙ্খলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষ।