দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়াতে সাহায্য করবে ব্রাজিল

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:২৭, সোমবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৪, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

ব্রাজিল অত্যন্ত কম দামে বিভিন্ন দেশে গরুর মাংস সরবরাহ করে। বাংলাদেশেও তারা ব্যবসা করতে চায়।

দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সুবিধা সম্প্রসারণে সহায়তা করতে আগ্রহী ব্রাজিল। সম্ভাব্য চিহ্নিত ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে আগামী জুলাই মাসে আলোচনা করার বিষয়ে একমত হয়েছে উভয় পক্ষ।

এ তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রবিবার (৭ এপ্রিল) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সফররত ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওরো ভিয়েরার সঙ্গে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তৈরি পোশাক শিল্পের শুল্কমুক্ত সুবিধা চাই। ব্রাজিল থেকে যে তুলা আমরা আমদানি করি— সেটি দিয়ে তৈরি পোশাক যেন শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়। আমাদের ওষুধ শিল্প যেন সহজে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রফতানি করতে পারে এবং অন্যান্য পণ্য যেমন- পাট ও চামড়াজাত পণ্য কিভাবে বাজার সুবিধা পেতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘আমরা আলোচনা শুরু করেছি। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে পারবো, যেখানে তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক বা যৌথ সমীক্ষা করতে পারবো।’ একইসঙ্গে আমরা আমাদের বাণিজ্য বাড়াতে পারবো বলে তিনি জানান।

ব্রাজিল অত্যন্ত কম দামে বিভিন্ন দেশে গরুর মাংস সরবরাহ করে। বাংলাদেশেও তারা ব্যবসা করতে চায়।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত কম দামে ব্রাজিল মাংস সরবরাহ করতে পারে। সে বিষয়ে তারা কথা বলেছে। আগামী কোরবানিকে সামনে রেখে আমি তাদের অনুরোধ করেছি— যদি সস্তাই হয়, তবে জীবন্ত গরু আনার ব্যবস্থা করা যায় কিনা।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্রাজিল মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণে জোর দিয়েছে। আমরা চাইছি যে, শুধু বাংলাদেশের বাজার নয়, তারা যাতে বাংলাদেশে প্রক্রিয়া করার পর গোটা এশিয়াতে রফতানি করে, সেটির বিষয়ে তাদেরকে আমরা উৎসাহিত করেছি।’
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য ব্রাজিলের বাজারে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু ওই দেশ থেকে প্রচুর পরিমান তুলা আমদানি করে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাজিল একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং তারা তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারকে সুরক্ষা দেয়। তৈরি পোশাক শিল্প তাদের একটি সুরক্ষিত বাজার। শুধুমাত্র চীন ও বাংলাদেশ থেকে তারা আমদানি করে। বাকিটা তারা স্থানীয়ভাবে করার চেষ্টা করছে। তারা আমাদের কথা দিয়েছে— এটি শুধুমাত্র ব্রাজিল নয়, বরং গোটা অঞ্চলের জন্য হবে। সেজন্য আমরা সহযোগিতা এমনভাবে করছি— যাতে করে শুধুমাত্র ব্রাজিল নয়, দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশেও রফতানিতে তারা আমাদের সহযোগিতা করবে।’

Share This Article