রংপুরের আলু যাচ্ছে ১১ দেশে

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৫, বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৩, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

তৃতীয়বারের মতো এবারও রংপুর থেকে আলু রপ্তানি করা হচ্ছে। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, রশিয়াসহ ১১টি দেশে রংপুরের আলু রপ্তানি করা হয়। তবে এ আলুর সবচেয়ে বেশি চাহিদা মালয়েশিয়ায়। এবার ৩০ হাজার মেট্রিক টন আলু রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২০ হাজার মেট্রিক টন রপ্তানি করা হয়েছে।

রংপুরের আলু যাচ্ছে ১১ দেশেরংপুর জেলায় আলুর রংপুর জেলায় আলুর চাহিদা এক লাখ ২৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। এবার আলুর চাষ হয়েছে ৫৩ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে। ফলন হয়েছে সাড়ে ১৬ লাখ মেট্রিক টন। এখন আলু উত্তোলন ও রক্ষণাবেক্ষণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। যেসব আলু বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সানশাইন, সান্তানা, গ্রানোলা, লরা, এলুয়েট ও ডায়মন্ড জাতের আলু। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করা এসব আলু রংপুরের আটটি উপজেলা পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, বদরগঞ্জ, কাউনিয়া ও রংপুর সদর থেকে পাইকারি বিক্রি করা হয়। দাম তেমন ভালো না পেলেও নিজেদের জমির উৎপাদিত আলু বিদেশে রপ্তানির সুযোগ পেয়ে খুশি কৃষকরা।

২০২১ সালে অনানুষ্ঠানিকভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় আলু রপ্তানি করা হলেও ২০২২ সালে এই কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক মাত্রা পায়। সে বছর রংপুরের মিঠাপুকুরে আলু রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সায়েদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি কর্মসূচির উপদেষ্টা মাহমুদ হোসেন, বিএডিসির সদস্য পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

আলু চাষি লাভলু মিয়া বলেন, রপ্তানিযোগ্য আলু উৎপাদন করছি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে যাচ্ছে আলু। আলু কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী। এতে লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এবার জমি থেকে প্রতি কেজি আলু ১০ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন চাষিরা। গত বছর এ আলুর দাম ছিল সাত থেকে আট টাকা কেজি।

তবে মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর গ্রামের কৃষক বাদশা মিয়া, সালাম মিয়া, জাহাঙ্গীর আলমসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, রংপুরের আট উপজেলার আলু সারা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হলেও কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পান না, ছয় থেকে সাত টাকা কেজিতে বিক্রি করতে হয়।

রংপুর কৃষি বিভাগ বলছে, বিভিন্ন জাতের আলুর চাহিদার কথা মাথায় রেখে আলু আবাদে সহায়তা দিচ্ছে সরকারের কৃষি বিভাগ। এবার রংপুর জেলার ৬০০ আলুচাষিকে উন্নত আলু চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে উন্নত জাতের আলুর বীজও সরবরাহ করা হয়েছে।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, এবার রংপুর জেলায় রেকর্ড ৫৩ হাজার ৩০৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে, যা গতবারের তুলনায় প্রায় দুই হাজার হেক্টর বেশি। এখন চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানিও বাড়বে।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু বলেন, ‘সারা দেশে চাহিদার ৩০ শতাংশ আলুর জোগান দেয় রংপুর বিভাগ। তাই রংপুর বিভাগ থেকে আলু রপ্তানির ওপর গুরুত্বারোপ করেছে সরকার। বিদেশিদের চাহিদার দিকে লক্ষ রেখে উত্তম পদ্ধতিতে রংপুরে উন্নত আলুর চাষাবাদ করা হচ্ছে।’

রংপুরে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের হলরুমে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত আলু উৎপাদিত হচ্ছে। আলুর ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। রপ্তানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর আলু চাষিদের জন্য অল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article

শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

তাপপ্রবাহ নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস

নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়া: অপু

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ নথি সই, চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, বিএনপি দেখে না: কাদের

মার্কিন চাপ নয়, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হলেই জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস