বাংলাদেশ,শ্রীলংকা নাকি আমেরিকা: মাথাপিছু ঋণ কার বেশি
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ ঋণের তলে ডুবে যাচ্ছে, প্রতিটা শিশু মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে জন্মাচ্ছে এমন সংবাদ ফেসবুকে হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র ঋণগ্রহীতা দেশ নয়।
বরং বাংলাদেশের তুলনায় এশিয়ার বহু দেশেরই মাথাপিছু ঋণ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথাপিছু ঋণ বাংলাদেশের তুলনায় কয়েকশ গুণ বেশি।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুত্রে জানা গেছে, বৈশ্বিক করোনার আঘাত ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বেই ঋণগ্রস্ত দেশের সংখ্যা বেড়েছে।গত ১ বছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু ঋণ ১৪ শতাংশ বেড়ে ৬৮ হাজার টাকা হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও ভারত, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু ঋণ আমাদের চেয়ে বেশি।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় দেশ ভারতের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ ২০-২১ অর্থবছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। একই সময়ে পাকিস্তানের মাথাপিছু ঋণ গত বছর ছিলো ৬৮ হাজার টাকা চলতি বছর ৯২ হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে দেউলিয়া হওয়া শ্রীলঙ্কার মাথাপিছু ঋণ আছে ২ লাখ টাকারও বেশি।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে মাথাপিছু ঋণে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের মাথায় ঋন ১০০,০০০ ডলার',বাংলাদেশী মুদ্রায় যা কোটি টাকার বেশি। এমনকী এই তথ্য জানিয়ে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিক্কি হালে বলছেন, 'আমাদের নেতারা আমাদের ভবিষ্যত চুরি করছেন, নতুন প্রজন্ম কখনই তাদের ক্ষমা করবে না ।'
বাংলাদেশের অর্থণীতিবিদরা বলছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ আর মেগা প্রকল্পগুলোর ঋণের কারণে হয়তো বাংলাদেশের উপর এখন ঋণ পরিশোধের চাপ বেড়েছে। কিন্তু ঋণ নিয়ে বাংলাদেশের এখনই মাথাব্যাথার কিছু নেই।
এখানে অবশ্যই জানা দরকার,যে মাথাপিছু ঋণ, তা হিসাব করা হয় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার যত টাকা ঋণ নিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে। আর এই রাষ্ট্রীয় ঋণ পুরোটা একসঙ্গে শোধ করতে হয়না বিধায় প্রতি বছর জাতীয় বাজেটের একটি অংশ সুদ পরিশোধ করার জন্য আলাদা করে রাখা হয়। আর ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রেকর্ড বরাবরই ভালো ছিল এবং এখনও আছে।