প্রাথীদের আয় বৃদ্ধি বা হ্রাস বিবেচ্য নয়!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:০৬, বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৩ পৌষ ১৪৩০

বিগত দিনের তুলনায় দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এর হাত ধরে মুনাফাও বেড়েছে। কাজেই দুর্নীতিগ্রস্ত হলেই যে সম্পদের পরিমাণ বাড়বে এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। মূলত আয় বৃদ্ধি বা হ্রাসের ওপর কোন প্রাথীকে বিচার করা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়।

 


 

এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন প্রার্থীর সম্পদ অস্বাভাবিক বেড়েছে। কারও আবার কমেছে।

যেসব প্রার্থীদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে তাদের নিয়ে রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা বলি হচ্ছে, দুর্নীতি করে স্ব স্ব প্রার্থীরা আয় বৃদ্ধি করেছেন। অথচ যাদের আয় হ্রাস পেয়েছে তাদের নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছেন সবাই।

প্রশ্ন হচ্ছে, দুর্নীতির মাধ্যমেই কি  প্রার্থীদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে? আর যাদের কমেছে তারা কি দুর্নীতি থেকে মুক্ত?

আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা ১৮৯৬ জন। এর মধ্যে ১৮ শতাংশ স্বতন্ত্র আর ৮২ শতাংশ প্রার্থী দলীয়।

হলফনামায় দেখা যায়, এসব প্রার্থীদের ৫৭ শতাংশের বেশি মূল পেশা ব্যবসা। আর বাৎসরিক আয় ১ কোটি টাকার বেশি এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৬৪ জন। ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ আছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ১৮ জন। স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ৪৮০ জন।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, যাদের সম্পদ বেড়েছে বা কোটিপতি অথবা শত কোটি টাকার অধিকারী তারা সবাই বড় বড় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি এবং পারিবারিকভাবেই  শত কোটি টাকার মালিক অনেক আগে থেকেই।তাদের আয়ের উৎসও ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক মুনাফা, শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ যা পাঁচ বছরের ব্যবধানে কয়েকগুন বেড়েছে,যা মোটেও দোষের নয়, বরং তারা রাষ্ট্রকে প্রচুর কর প্রদান করেন এবং কোন অনুসন্ধানে তাদের আয়ের উৎস দুর্নীতি নয়।অথচ তাদের আয় বৃদ্ধিকে নেতিবাচকভাবে এমনকি দুর্নীতিবাজ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, পূর্বের হলফনামায় যাদের সম্পদ বেড়েছে, কিন্তু এবার কমেছে, তাদের বেশিরভাগ ঋণগ্রস্ত। অনেকের ব্যবসা থেকেও লোকসান গুনতে হয়েছে। ফলে সম্পদের পরিমাণও কমেছে।

বিশ্লেষকরা বলেন, বিগত দিনের তুলনায় দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। উন্নয়নের ফলে বিভিন্ন ব্যবসায়ীক ও বিনিয়োগের ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। এর হাত ধরে মুনাফাও বেড়েছে। কাজেই দুর্নীতিগ্রস্ত হলেই যে সম্পদের পরিমাণ বাড়বে এ কথার কোনো ভিত্তি নেই। মূলত আয় বৃদ্ধি বা হ্রাসের ওপর কোন প্রাথীকে বিচার করা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়।

Share This Article

আমেরিকা ছাড়িয়ে ইউরোপে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন

ক্ষমতায় যেতে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

তাপপ্রবাহ নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস

নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়া: অপু

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ নথি সই, চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর