পোশাক রপ্তানিতে প্রভাব ফেলবে না মার্কিন ভিসানীতি : বিজিএমইএ সভাপতি
আমেরিকান অনেক ব্র্যান্ড বায়ার আছে, যাদের পোশাক এখানে তৈরি হয়। সেই সব কারখানার শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ুক, সেটা নিশ্চয়ই আমেরিকা চায় না।
তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, মার্কিন ভিসানীতির কোনো প্রভাব দেশের পোশাক রপ্তানিতে পড়বে না। এর আগে আকু পেমেন্টে কয়েকটি ব্যাংকে স্যাংশন দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, তবে পরবর্তী সময়ে ভিন্ন মাধ্যমে তা সমাধান হয়েছে। এভাবে নতুন সমস্যা আসবে, তার সমাধানও থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রপ্তানি বাণিজ্যে মার্কিন ভিসানীতির প্রভাব না পড়ার কারণ ব্যাখ্যায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তির ওপর দেওয়া হয়েছে, দেশের ওপর দেওয়া হয়নি। কোনো ব্যবসায়ীর ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও ব্যবসা-বাণিজ্যে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ করোনার অভিজ্ঞতা বলছে রপ্তানি বাজারে সশরীরে না গিয়েও ব্যবসা করা সম্ভব।
তবে যেকোনো স্যাংশনেই শঙ্কিত হওয়ার কারণ থাকে স্বীকার করে তিনি বলেন, এর পরও ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবেন।
আমেরিকান অনেক ব্র্যান্ড বায়ার আছে, যাদের পোশাক এখানে তৈরি হয়। সেই সব কারখানার শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়ুক, সেটা নিশ্চয়ই আমেরিকা চায় না।
ফারুক হাসান বলেন, ‘সম্প্রতি মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি ইউএসটিআরের কর্মকর্তারা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বিজিএমইএ অফিসে এসেছেন। সেখানে তাঁরা নভেম্বরের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন এবং শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন।
বিজিএমইএ এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে। এর পরও আমি আমেরিকা যাওয়ার পর আমাকে বলতে পারে তোমার ভিসা বাতিল করা হলো।’
সম্প্রতি পোশাক রপ্তানির আড়ালে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তিন কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ ডলার পাচারসংক্রান্ত সংবাদ প্রসঙ্গে ফারুক হাসান বলেন, পাচারের অভিযোগ সঠিক নয়।