রিজওয়ানের ব্যাটে বাংলাদেশকে ১৬৮ রানের লক্ষ্য দিল পাকিস্তান
স্পোর্টস ডেস্ক
মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি পেয়েছে পাকিস্তান। ৫০ বলে ৭৮ রান করেছেন এ ওপেনার। অবশ্য ১০ রানেই বিদায় নিতেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে সাব্বিরের ব্যর্থতায় রান আউট থেকে বেঁচে যাওয়া এই ওপেনারই টানলের দলকে।
ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে শুক্রবার টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
শুরুতে দেখে শুনে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ান। উদ্বোধনী জুটিতে ৫২ রান তোলার পর মিরাজের বলে বিচ্ছিন্ন হয় এই জুটি।
বাবর আজমকে ইনিংস বড় করতে দেননি স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ২৫ বলে ২২ রানে থামেন তিনি।
এরপরে বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করেছে পাকিস্তান।
পাওয়ার প্লেতে চতুর্থ বোলার হিসেবে আক্রমণে আসেন নাসুম আহমেদ। দ্বিতীয় বলেই তাকে ছক্কায় স্বাগত জানান মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই ওভারেই রান আউট হয়ে যেতে পারতেন তিনি। বেঁচে যান সাব্বির রহমানের ব্যর্থতায়।
বাবর মিডউইকেটে বল পাঠানো মাত্র রানের জন্য ছুটেন রিজওয়ান। রান নেওয়া সম্ভব নয় বুঝে তাকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক। কিন্তু বল ধরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন সাব্বির। রিজওয়ানেরও পা ফস্কে যায়, তবে কোনোমতে জায়গায় পৌঁছাতে পারেন তিনি। সে সময় তার রান ছিল ১০।
বাববের আউটের পর ১৩ ওভারে পাকিস্তানের রান ২ উইকেটে ৯৪। ক্রিজে রিজওয়ানের সঙ্গী হন হায়দার আলি।
রিজওয়ানের সঙ্গে শান মাসুদের জুটিতে রান বাড়ছিল দ্রুত। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা জুটি ভাঙেন স্পিনার নাসুম আহমেদ।
বাঁহাতি এই স্পিনাররের বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি মাসুদ। তার ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় পয়েন্টে। সেখানে দ্বিতীয় চেষ্টায় কোনোমতে বল মুঠোয় জমান হাসান মাহমুদ। ২২ বলে ৩১ রান করে ফেরেন এ টপঅর্ডার ব্যাটার মাসুদ।
আজ চমৎকার বোলিং করেছেন পেসার তাসকিন। তার বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচে হায়দার আলিকে বিদায় করলেন ইয়াসির আলি। ৬ বলে এক চারে ৬ রান করেন দলে ফেরা এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
১৮ ওভারে পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ১৪৪। ক্রিজে মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গী হন আসিফ আলি।
শেষ দিকে মোস্তাফিজুর রহমানের ওভার ছিল খরুচে। তিন চারে বাঁহাতি এই পেসার দেন ১৬ রান। অষ্টাদশ ওভারে আক্রমণে এসে শুরুটা ভালো করতে পারেননি পোসার হাসান মাহমুদ। প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করেন তিনি। পরের বলেই ইফতিখার আহমেদকে ফিরিয়ে দেন তরুণ এই পেসার।
স্লোয়ার বলে পুলের চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি ইফতিখার। ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ নেন আফিফ হোসেন।
৮ বলে দুই চারে ১৩ রান করেন ইফতিখার।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ, নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।