ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের চাহিদা ২০০ গুণ বেশি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৪৩, শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১১ ফাল্গুন ১৪৩০

২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তবে এখনও টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। কিন্তু আয়োজকদের এখন থেকেই টিকিটের আবদার সামলাতে হচ্ছে। বিশেষ করে একটি ম্যাচকে ঘিরে সমর্থকদের বিপুল আগ্রহ দেখে বিস্মিত যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজকরা।

মূলত ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেটপ্রেমীদের যত আগ্রহ। সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, আগামী ৯ জুনের এই ম্যাচের টিকিটের আবদার সামলাতে নাজেহাল হওয়ার অবস্থা আয়োজকদের।

আইসিসির দাবি, টিকিটের চাহিদা এখনই স্টেডিয়ামের দর্শক আসনের ২০০ গুণেরও বেশি! ক্রিকেটের জনপ্রিয়তায় বিস্মিত যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজকেরা। এই চাহিদার কথা মাথায় রেখে হিমশিম খাচ্ছে তারা।

নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে। অস্থায়ী এই স্টেডিয়ামে ৩৪ হাজার দর্শকাসন থাকার কথা। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির চিফ এক্সিকিউটিভ ব্রেট জোন্স বলেছেন, ‘টিকিটের চাহিদা অবিশ্বাস্য। এখন থেকেই বিশাল চাহিদা দেখছি আমরা। যে কোনো বিশ্বকাপেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উৎসাহ, আকর্ষণ থাকে। এই দু’টো দেশ এবার এখানে খেলতে আসছে। এটা আমাদের বড় প্রাপ্তি।’

এবারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ ভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে। প্রতিযোগিতার ১৬টি ম্যাচ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। এই প্রথম এত বড় মাপের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা হতে চলেছে দেশটিতে। ভারত এবং পাকিস্তানের প্রচুর মানুষ বসবাস করেন সে দেশে। মাঠে বসে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, বাবর আজমদের খেলা দেখার সুযোগ তারা পান না। স্বাভাবিক ভাবেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এই ম্যাচ ঘিরে বিপুল উৎসাহ তৈরি হয়েছে।

জোন্স বলেন, ‘এই ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ আমরা বেশ উপভোগ করছি। এই উন্মাদনা কাজে লাগিয়ে আমরা স্থানীয়দের মধ্যে খেলাটাকে জনপ্রিয় করতে চাই। যাতে আগামী দিনে এখান থেকেও ভালো খেলোয়াড় উঠে আসে।’

এদিকে বিশ্বকাপের চার বছর পর ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট হওয়ার কথা। ২০৩২ সালে ব্রিসবেন অলিম্পিক্সেও হবে ক্রিকেট। যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট কর্মকর্তাদের আশা, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাফল্য অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তিকে আরও যুক্তিসঙ্গত করে তুলবে।

এ বিষয়ে জোন্স বলেন, ‘২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলস বিশ্বকাপের আগে বিশ্বকাপ একটা দারুণ সুযোগ। অলিম্পিক্সের মঞ্চ প্রস্তুত করে দিতে পারে বিশ্বকাপ। পর পর দুটো অলিম্পিক্সে ক্রিকেট নিশ্চিত। এটা খেলাটাকে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় দেশেও ক্রিকেটের প্রসারের জন্য পর পর দুটো বড় প্রতিযোগিতা সহায়ক হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে ভারত, পাকিস্তান ছাড়াও বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে যাবে শ্রীলংকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস এবং কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রও নিজেদের দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। যদিও এখনকার দলের অধিকাংশ সদস্যই ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলংকার বংশোদ্ভূত।

জোন্স মেনে নিয়েছেন তাদের এখনও অনেক পথ যেতে হবে। বিশ্বকাপকে মাধ্যম করেই ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন তিনি। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের উন্মাদনা সেই পথে সহায়ক হবে বলেও মনে করছেন।

ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের বিপুল চাহিদা কি সামলাতে পারবেন? যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ আয়োজকেরা জানাচ্ছেন, স্টেডিয়ামের দর্শকাসনের ২০০ গুণ বেশি টিকিট বিক্রির কোনো প্রশ্ন নেই। টিকিট না পাওয়া ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা ভেবে দেখছেন তারা। ক্রিকেট নিয়ে বিপুল উন্মাদনা কোনো ভাবেই নষ্ট হতে দিতে চান না।

Share This Article