সর্বজনীন পেনশনের জন্য আবেদন করবেন যেভাবে

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:৩৩, বৃহস্পতিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৩, ২ ভাদ্র ১৪৩০

বহুলপ্রত্যাশিত ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।  

সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধনের দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সম্মানের সঙ্গে সবাইকে বাঁচার সুযোগ করে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।

এই পেনশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আগামী দিনে বেসরকারি চাকরি থেকে অবসরে গিয়েও পেনশন সুবিধা ভোগ করা যাবে। তবে এ স্কিম থেকে বাদ পড়ছেন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধাপ্রাপ্ত ১ কোটি ৩৮ লাখ মানুষ। তাদের সবাই নগদ ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন।

পেনশন স্কিমে অংশ নিতে হলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে। অন্যথায় এ স্কিমে যুক্ত হতে পারবে না। একই সঙ্গে কর্মরত সরকারি চাকরিজীবীরাও আপাতত এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারছেন না।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বকর্মে নিয়োজিত ও স্বল্প-আয়ের নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতে অংশ নিতে পারবেন।

উদ্বোধনের দিন থেকেই যে কেউ চাইলে এ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করে যুক্ত হতে পারবেন। এ জন্য সরকার পৃথক একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। সেটি হচ্ছে www.upension.gov.bd।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় প্রথমেই একটি প্রত্যয়ন পাতা আসবে; যেখানে লেখা থাকবে—‘এই মর্মে প্রত্যয়ন করছি যে আমি সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই। সর্বজনীন পেনশন স্কিমবহির্ভূত কোনো ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোনো ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।’

এই পাতার নিচের দিকে ‘আমি সম্মত আছি’ অংশে ক্লিক করলে দ্বিতীয় পাতায় গিয়ে নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে। এখানে আবেদনকারীকে প্রবাস, সমতা, সুরক্ষা বা প্রগতি—এই চার স্কিমের মধ্য থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করতে হবে। একই সঙ্গে ১০, ১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই–মেইল আইডি লিখে দিতে হবে। এরপর পাতার নিচের দিকে থাকা ক্যাপচা লিখে পরের পাতায় যেতে হবে।

ক্যাপচা দেওয়ার পরে আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ই–মেইলে একটি ওটিপি বা একবার ব্যবহারযোগ্য গোপন নম্বর আসবে, যা ফরমে দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ার পরের ধাপে আসবে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা। এ পাতায় এলে ব্যক্তির এনআইডি অনুযায়ী এনআইডি নম্বর, ছবি, আবেদনকারীর বাংলা ও ইংরেজি নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে (যেহেতু আগের পাতায় এনআইডি নম্বরের মাধ্যমে এ তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে)।

তবে এখানে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় লিখতে হবে এবং পেশা, নিজ বিভাগ, জেলা ও উপজেলার নাম নির্বাচন করতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে শিক্ষক, বেসরকারি চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, ব্যবসা, দিনমজুর, আইনজীবী, সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার উল্লেখ আছে। সেখান থেকে নিজের পেশা নির্বাচন করতে হবে। সব লেখা সম্পন্ন হলে পরের ‘স্কিম তথ্য’–এর পাতায় যেতে হবে।

নমিনি তথ্যের পাতায় গিয়ে নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও জন্মতারিখ দিয়ে নমিনিকে যুক্ত করতে হবে। এখানে একাধিক নমিনিও যুক্ত করা যাবে। এ সময় নমিনির মোবাইল নম্বর, নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক, নমিনির প্রাপ্যতার হারের (একাধিক নমিনি হলে) তথ্য দিয়ে সর্বশেষ ‘সম্পূর্ণ ফরম’ ধাপে যেতে হবে।

এটিই নিবন্ধনের শেষ ধাপ। এ ধাপে আগে পূরণ করা ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম তথ্য, ব্যাংক তথ্য ও নমিনি তথ্য দেখানো হবে। সেখানে কোনো ভুল থাকলে আবার শুরুতে গিয়ে তথ্যের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। আর সব তথ্য ঠিক থাকলে তাতে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এ সময় চাইলে সম্পূর্ণ আবেদনটি ডাউনলোডও করতে পারবেন আবেদনকারী।

বৃহস্পতিবার থেকে অনলাইন ফরম পূরণ অথবা সরাসরি সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে নিবন্ধন করা যাবে এবং চাঁদা দেওয়া যাবে। মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও চাঁদা দেওয়া যাবে। জানা গেছে, চারটি স্কিমের জন্য আলাদা চারটি হিসাব খোলা হয়েছে সোনালী ব্যাংকে। এ হিসাবগুলোতে চাঁদা জমা হবে। সোনালী ব্যাংক দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও পরে অন্য ব্যাংকও যুক্ত হবে।

সম্প্রতি জারি হওয়া সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালায় ধারা (৪)-এর উপধারা (৩)-এ বলা হয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতাভুক্ত ব্যক্তিরা এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন। তবে শর্ত হচ্ছে-এ স্কিমে অংশ নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা সমর্পণ করতে হবে।

এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত অর্থ বিভাগের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সরকার আগামী দিনে পর্যায়ক্রমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির চাপ তুলে দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিয়ে আসা হবে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


কমেছে সবজির দাম, চড়া মাছের বাজার

খোলা তেলে সুখবর

আইএমএফের ঋণ: তৃতীয় কিস্তির জন্য ৯ শর্ত পূরণ বাংলাদেশের!

আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর

রেমিট্যান্সে শীর্ষে ঢাকা, তারপর চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা

‘অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণে নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে’

প্রবাসী আয়ের শীর্ষে ঢাকা, এরপর চট্টগ্রাম সিলেট কুমিল্লা 

ব্রাজিলে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে বাংলাদেশ

কোরবানিতে ব্রাজিল থেকে গরু পাঠানোর অনুরোধ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়াতে সাহায্য করবে ব্রাজিল

এবার একীভূত হচ্ছে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক

ঈদের আগে আরেক দফা বাড়লো সোনার দাম