পোশাকশিল্পে এক বছরে রপ্তানি বেড়েছে ২০ শতাংশ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৪২, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে রপ্তানি আয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।

সবশেষ গত জুলাই সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ ছিল মোট রপ্তানির প্রায় ৭১ শতাংশ। গত বছরের একই প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানি আয় ছিল মোট রপ্তানির সাড়ে ৫১ শতাংশ। এ হিসাবে প্রায় ২০ শতাংশ রপ্তানি বেড়েছে। সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানা গেছে।

যদিও পোশাক খাতের প্রকৃত আয়ের এ হিসাব নিয়ে খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সন্দেহ বা প্রশ্ন রয়েছে। গত বছরের শেষের দিকে অধিকাংশ কারখানা ২০-৩০ শতাংশ কম উৎপাদন সক্ষমতায় চলেছে। গ্যাস-বিদ্যুতের কারণে উৎপাদনও কম-বেশি ব্যাহত হয়েছে। তাই এ খাতের প্রকৃত আয়ের তথ্য নিয়ে তারা সন্দিহান।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়, ফলে ক্রেতারা প্রয়োজনীয় নয় এমন পণ্য কেনা কমিয়ে দেন। তাতে কমে যায় পোশাক বিক্রিও।

পোশাক খাতের রপ্তানি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবেষণা বিভাগ গত ৩০ নভেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন ছিল ৮২২ কোটি মার্কিন ডলারের। পোশাকের মোট রপ্তানি আয় থেকে কাঁচামাল আমদানি বাবদ খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত আয়ের এ হিসাব করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন মতে, গত জুলাই-সেপ্টেম্বরে পোশাক রপ্তানি বাবদ মোট আয় ছিল ১ হাজার ১৬২ কোটি ডলার। এর বিপরীতে আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৩৯ কোটি ডলার। তাতে এ খাতের মোট রপ্তানি আয় দাঁড়ায় ৮২২ কোটি ডলারে, যা এ খাতের মোট আয়ের প্রায় ৭১ শতাংশ। 

অথচ ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ১ হাজার ২৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয়ের বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি বাবদ ব্যয় ছিল ৪৯৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে এ খাতে প্রকৃত রপ্তানি আয় ছিল ৫২৯ কোটি ডলার, যা মোট আয়ের সাড়ে ৫১ শতাংশ।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে পোশাক খাতের প্রকৃত রপ্তানি বেড়ে ৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট পোশাক রপ্তানি আয়ের ৭১ শতাংশই ছিল প্রকৃত আয়। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তা বেড়ে হয় সাড়ে ৭১ শতাংশ।

প্রতিবেদন বলছে, গত জুলাই সেপ্টেম্বরে দেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানি আয়ের ৭০ শতাংশই এসেছে মাত্র নয়টি দেশ থেকে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও কানাডা। এ সময়ে এ দেশগুলো থেকে পোশাক রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ৮১১ কোটি ডলার। এসব দেশের বাইরের দেশগুলো থেকে পোশাক রপ্তানি বাবদ আয় ছিল ৩৫২ কোটি ডলার।

Share This Article


বাংলাদেশে শ্রম অধিকারের আরও উন্নয়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র

কমেছে সবজির দাম, চড়া মাছের বাজার

খোলা তেলে সুখবর

আইএমএফের ঋণ: তৃতীয় কিস্তির জন্য ৯ শর্ত পূরণ বাংলাদেশের!

আইএমএফের ঋণের বাকি অর্থ ছাড়ে বাধা নেই: গভর্নর

রেমিট্যান্সে শীর্ষে ঢাকা, তারপর চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা

‘অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণে নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে’

প্রবাসী আয়ের শীর্ষে ঢাকা, এরপর চট্টগ্রাম সিলেট কুমিল্লা 

ব্রাজিলে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে বাংলাদেশ

কোরবানিতে ব্রাজিল থেকে গরু পাঠানোর অনুরোধ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়াতে সাহায্য করবে ব্রাজিল

এবার একীভূত হচ্ছে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক