অবশেষে উন্মুক্ত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:৫৩, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই, ২০২২, ৩০ আষাঢ় ১৪২৯

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার মালয়েশিয়া যাওয়ার পথ আবার খুলেছে। জনবল নিয়োগের জন্য চাহিদাপত্র জমা দেওয়া মালয়েশিয়ার ১৮টি কম্পানি পরিদর্শন করে জনবল নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন। বিষয়টি হাইকমিশন থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই বাংলাদেশের কর্মী নিয়ে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে উড়বে ফ্লাইট।

 

কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো দুটি চিঠিতে দেখা যায়, নিয়োগদাতা কম্পানিগুলোর মধ্যে রেডউড ফার্নিচার ১৫০ জন ও আশুকা ইন্ডাস্ট্রিজ এন্টারপ্রাইজ ১০০ জন বাংলাদেশি কর্মী নিচ্ছে। দুটো কম্পানিরই চাহিদাপত্র সত্যায়ন হয়েছে।

রেডউড ফার্নিচার কম্পানিতে জনবল সরবরাহ করবে নিউএজ ইন্টারন্যাশনাল (০৭০৩) নামে রিক্রুটিং এজেন্সি। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার মো. শওকত হোসেন শিকদার বলেন, অবশেষে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে আবারও বাংলাদেশি কর্মী ঢুকছে, এটা অনেক খুশির সংবাদ। প্রথমে শুনেছিলাম ছয়টি কম্পানির ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন হয়েছে। পরে খোঁজ নিয়ে জানলাম ১৮টি কম্পানির ডিমান্ড লেটার সত্যায়ন প্রক্রিয়াধীন। সেটা হলে এ ধাপেই দেড়-দুই হাজার কর্মী যাবে মালয়েশিয়ায়। আমরা ১৫০ জন কর্মী পাঠাচ্ছি। গতকালই মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অনুমতির জন্য সব ধরনের কাগজপত্র জমা দিয়ে এসেছি।

তিনি আরো বলেন, অনুমতি হলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব। সবকিছু ঠিক থাকলে এ মাসেই কর্মী নিয়ে ফ্লাইট যাবে। ডিমান্ড লেটার সত্যায়নের পর আর কোনো ঝামেলা হবে না বলে মনে করছি।

২০১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার ৪০ মাস পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। গত মাসে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে জুনের মধ্যে মালয়েশিয়ার কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ঘোষণা দেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। কিন্তু দীর্ঘসূত্রতা কিছুতেই পিছু ছাড়ছিল না মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের।

এজেন্সির সংখ্যা নিয়ে দীর্ঘ সময় পার করে দেয় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়ার হাইকমিশন। মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের ডিমান্ড লেটার সত্যায়নের পরিবর্তে কখনো মেডিক্যাল সেন্টারের অনুমোদন, কখনো ডাটা ব্যাংকের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগে বাধ্যবাধকতা, কখনো র‌্যান্ডম স্যাম্পলিং, কখনো-বা মালয়েশিয়ার কাছে মন্ত্রণালয়ের নতুন সিস্টেম সমন্বয় করার প্রস্তাব করা হয়। ফলে দীর্ঘসূত্রতা বাড়তে থাকে। এতে নেপাল থেকে কর্মী নেওয়ার দিকে ঝুঁকতে শুরু করেন মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তারা। অবশেষে সব অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মালয়েশিয়ায় জনবল পাঠানোর দরজা এবার খুলেছে।

জনশক্তি রপ্তানিকারকরা বলছেন, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৬ লাখ বাংলাদেশি কর্মী কাজ করছেন। তাদের যে চাহিদা তাতে এবার মালয়েশিয়ায় আরও প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি কর্মী যেতে পারবেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


তুরস্কে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

কায়রোতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

মালয়েশিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ নিহত ৩

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে থাকছে না সিন্ডিকেট

নিহত দুলালের ছবি হাতে তার মা আনোয়ারা বেগম।

মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় কুমিল্লার ২ যুবকের মৃত্যু

মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাংলাদেশি নিহত

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি দম্পতিকে গুলি করে হত্যা

মালয়েশিয়ায় কাজ না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

টরন্টোয় শিশুদের রং তুলিতে বাংলাদেশ

স্পেনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

২০২৩ সালে গ্রিসে বৈধতা পেয়েছে সাড়ে তিন হাজার বাংলাদেশি

সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত