তুরস্কে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:২৫, বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪, ১৩ চৈত্র ১৪৩০

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাতৃভূমিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে রাখা হয়। পাকিস্তানের পরাধীনতা থেকে মুক্তির লড়াইয়ে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়। ৯ মাসের যুদ্ধে এত বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

তুরস্কের আংকারায় উৎসবমুখর আবহে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দিবসের শুরুতে রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হকের নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

dhakapost

পরে দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষ থেকে অবসরপ্রাপ্ত লেফট্যানেন্ট কর্নেল নাসির হায়দার, দূতাবাসের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান এবং তুরস্কে অবস্থানরত কন্ট্রোলার জেনারেল অব অ্যাকাউন্টস আবুল কালাম আজাদ।

শেষে রাষ্ট্রদূত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিতা বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন, যাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

তিনি বলেন, ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাতৃভূমিকে মুক্ত করার লক্ষ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা প্রদান করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানের কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস বঙ্গবন্ধুকে বন্দি করে রাখা হয়। পাকিস্তানের পরাধীনতা থেকে মুক্তির লড়াইয়ে ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়। ৯ মাসের যুদ্ধে এত বেশি মানুষ হত্যার ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক উন্নয়নের চিত্র, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রসরতা ও বাংলাদেশের অর্জনগুলোর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি জাতির পিতার সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘ভিশন-২০৪১’ বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে সবাইকে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকার এবং প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article