তরমুজ ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:০৪, শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতি বছর রমজান আসলেই কদর বাড়ে রসালো ফল তরমুজের। এই সুযোগে আকাশছোঁয়া দাম হাকান ব্যবসায়ীরা। এবারের রমজানে প্রথম দিকে দেখা গেছে একই চিত্র। তবে ক্রেতাদের বয়কটের কারণে রমজানের মাঝামাঝি এসে তরমুজের দাম নেমে এসেছে অর্ধেকের কমে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান, যাত্রবাড়ীসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, দাম কম থাকলেও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না তরমুজ ব্যবসায়ীরা। প্রথম দিকে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া তরমুজের দাম নেমে এসেছে ৩০/৪০ টাকায়। মূলত অতিরিক্ত দামের কারণে তরমুজ বয়কট করায় দাম কমছে বলে মনে করেন ভোক্তারা।

তাদের দাবি, বয়কট করায় কমতে শুরু করেছে তরমুজের দাম। ক্রেতারা জোটবদ্ধ হয়ে পচনশীল এ পণ্য কেনা সাময়িক বন্ধ করতে পারলেই দাম নেমে আসবে ৩০ টাকার নিচে। পাশাপাশি কেজির বদলে পিস হিসেবে বিক্রি করতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।

শোভন নামে এক ক্রেতা বলেন, ভোক্তারা তরমুজ কেনা বয়কট করেছে, তাই বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। না কিনলে ব্যবসায়ীরা কার কাছে বিক্রি করবে! এর প্রভাবে দাম কমাতে বাধ্য ব্যবসায়ীরা।

বিক্রেতা সোহরাব মিয়া জানান, বাজারে তরমুজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। তারপরেও বাজারে পর্যাপ্ত ক্রেতার নেই। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তরমুজ ব্যবসায়ীদের।

এদিকে, প্রতি পিস বাঙ্গি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, পেঁপে ৯০ থেকে ১০০ টাকা ও মানভেদে প্রতি পিস আনারস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।

এছাড়া, বাজারে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বরই খেজুর ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়।

 

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article