পছন্দের মানুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:২৭, শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩০

‘আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।’

কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে রয়েছে নয়টি লোহার দানবাক্স। প্রতি তিন-চার মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার মসজিদের দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা ও বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। এছাড়া রয়েছে মনোবাসনা পূর্ণ করতে বিভিন্ন চিরকুট। এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এমন একটি চিঠি পাওয়া গেছে, যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে চিরকুট লিখেছেন।

 

্সটচস

যেখানে একজন প্রেমিক তার প্রেমিকাকে জীবনসঙ্গী করে পেতে চিরকুট লিখেন। চিরকুটে লেখা ছিল, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। আমি একটা মেয়েকে ভালোবাসি কিন্তু মেয়েটা আমাকে ভালোবাসে না। আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে আল্লাহ্ তাকে যেন আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে কবুল করেন। মেয়েটার নাম মোছা. সারভীন আক্তার ও আমার নাম সাইফুল ইসলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে কবুল করেন।’

ারনা

এমন আরেকটি চিরকুটে লেখা, ‘আল্লাহ আমি যেন একটা মানসম্মত নাম্বার পাই একটা ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারি। আমার মাথার সব খারাপ চিন্তা দূর হয়ে যায়। আল্লাহ আমার মা-বাবারে ভালো রাখেন। আমি যেন রফিকুল ইসলাম কলেজে ভর্তি হতে পারি।’

ক.দজহক
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, ৪ মাস ১০ দিন পর আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদে ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

মতচজবকমত

টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

এর আগে সর্বশেষ, ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article