শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সিক্ত হতে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
রাত পোহালেই ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি। দিনের প্রথম প্রহর থেকেই মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মোড়ানো ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। দিনটি উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রাত পোহালেই ৫২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি। দিনের প্রথম প্রহর থেকেই মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় মোড়ানো ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতিসৌধের শহীদ বেদি। দিনটি উপলক্ষে এরইমধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে ধুয়ে মুছে, ফুল আর রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রস্তুত করেছে গণপূর্ত বিভাগ।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, দিবসটি উপলক্ষে সৌধের মিনার থেকে শুরু করে পায়ে চলার পথ সবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। রঙ-তুলির আঁচড় পড়েছে ফুলের টবসহ না স্থাপনায়। এরইমধ্যে পরিচ্ছন্নকর্মীরা ধুয়ে মুছে প্রস্তুত করেছেন গোটা সৌধ এলাকা।
এদিকে স্বাধীনতা দিবসে সৌধ এলাকা ছাড়াও পুরো উপজেলা সেজেছে নতুন সাজে। সড়ক-মহাসড়ক ছাড়াও ভবনগুলো সাজানো হয়েছে লাল-সবুজ বাতিতে।
ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দিবসটি পালন করতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। গোটা সাভারকে সাজানো হয়েছে ভিন্নরূপে। দলের শীর্ষ নেতা ও সাধারণ জনতাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত সাভারবাসী।
এদিকে নতুন সাজের পাশাপাশি সৌধ এলাকাটিতে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সিসিটিভির পাশাপাশি মোতায়েন থাকছে সাদা পোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহহিল কাফি বলেন, দিবসকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকল ধরনের ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। সিভিল পোশাকে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছেন। গোটা সৌধ এলাকায় বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও সড়ক-মহাসড়কে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা চৌকি। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় রাখা হয়েছে স্পেশাল ব্যবস্থা। যেন ওইদিন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কোনো প্রকার অসঙ্গতি না থাকে সে ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরের পর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য খুলে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধের মূল ফটক।
