যে জাতি অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটায়, সে জাতির নেতা হিসেবে আমি জন্মদিন পালন করতে পারি না: বঙ্গবন্ধু
বাঙালির এক অপার আনন্দের দিন ১৭ই মার্চ। ১৯২০ সালের এই দিনে রাত ৮টার দিকে মা সায়েরা খাতুনের কোল আলোকিত করে আসেন ইতিহাসের মহানায়ক, বাঙালি জাতির মুক্তিদাতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এবছটি তাঁর ১০৪ তম জন্মদিন। কিন্তু কখনো কী মনে হয়েছে এই মহাপুরুষ তার জন্মদিনের বিশেষ এই দিনটি নিয়ে কী ভাবতেন?
স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ১৯৭১ সালের মার্চে যখন দেশ উত্তাল, তখন বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন এসে পড়ে। ১৭ মার্চ তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় একজন বিদেশি সাংবাদিক বঙ্গবন্ধুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান ও জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গ তোলেন।
জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আমি আমার জন্মদিন পালন করি না। জন্মদিনে কেকও কাটি না, মোমবাতিও জ্বালি না। যে জাতি অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটায়, কথায় কথায় গুলি করে হত্যা করা হয়, সে জাতির নেতা হিসেবে আমি জন্মদিন পালন করতে পারি না।’
উল্লেখ্য, পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময় জেলে কাটিয়েছেন। তিনি তার জীবনের চার হাজার ৬৮২ দিন জেলে কাটিয়েছেন। পাকিস্তান আমলের ২৪ বছরে প্রায় ১৮ বার জেলে যান। প্রায় ১৩ বছর বঙ্গবন্ধুকে জেলে কাটাতে হয়েছে। এসময় ৮টি জন্মদিন তার কেটেছে কারাগারে।