রোজা শুধু অনাহার থাকার নাম নয়

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:১০, সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩, ২৭ চৈত্র ১৪৩০

রোজার দ্বারা কভাবে মানুষ পাপ থেকে বিরত হয়? এটা বোঝার জন্য আগে বুঝতে হবে গুনাহ কীভাবে হয়। সাধারণত মানুষের গুনাহ হয় পেটের কারণে কিংবা যৌনাঙ্গের কারণে। অধিকাংশ গুনাহের সম্পর্ক হচ্ছে এ দুটির সাথে। রোজার মাধ্যমে এ দুটোকে নিয়ন্ত্রণ করার অভ্যাস গড়ে তোলা হয়। 

রোজা ইসলামের একটি মৌলিক রোকন। আল্লাহ তাআলা কোরআন কারিমে এরশাদ করেছেন‘হে মুমিনরা! তোমাদেরকে রোজার বিধান দেওয়া হলো, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকেও রোজার বিধান দেওয়া হয়েছিল। এই রোজা দেওয়া হলো এই উদ্দেশ্যে, যাতে তোমরা তাকওয়া-পরহেজগারির অধিকারী হতে পারো।’ (সূরা বাকারা, ১৮৩)

সুতরাং রোজার উদ্দেশ্য হলো তাকওয়া অবলম্বন করা। পরহেজগার হওয়া। বিরত থাকা। সংযমী হওয়া। প্রশ্ন হচ্ছে—কিসের থেকে বিরত থাকবো? গুনাহ ও পাপ থেকে বিরত থাকা এবং সংযমী হওয়া।

রোজার দ্বারা কভাবে মানুষ পাপ থেকে বিরত হয়? এটা বোঝার জন্য আগে বুঝতে হবে গুনাহ কীভাবে হয়। সাধারণত মানুষের গুনাহ হয় পেটের কারণে কিংবা যৌনাঙ্গের কারণে। অধিকাংশ গুনাহের সম্পর্ক হচ্ছে এ দুটির সাথে। রোজার মাধ্যমে এ দুটোকে নিয়ন্ত্রণ করার অভ্যাস গড়ে তোলা হয়। রোজার দ্বারা শুধু যে পানাহার ও যৌন ব্যবহারকেই নিয়ন্ত্রণ করা হয় তা নয়, বরং সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

কারণ সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গুনাহ থেকে বিরত থাকলেই রোজা পূর্ণাঙ্গ হয়। যেমন মুখের দ্বারা যত গুনাহ হতে পারে সেইসব থেকে বিরত থাকা, চোখের দ্বারা যত গুনাহ হয় তা থেকে বিরত থাকা, কানের দ্বারা যত গুনাহ হয় তা থেকে বিরত থাকা—এভাবে সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ থেকে যত গুনাহ হতে পারে সে সব থেকে যদি বিরত থাকা হয় তাহলেই হয় পূর্ণাঙ্গ রোজা। দেখা গেলো—পূর্ণাঙ্গ রোজা যদি আমি রাখতে চাই তাহলে সারা মাস আমাকে সব ধরনের গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হচ্ছে। না থাকলে আমার রোজা পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না বরং সেটা হচ্ছে ছেঁড়া-ফাটা রোজা, ভাঙ্গাচুরা রোজা।

হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন—"রোজা হলো ঢালস্বরূপ যতক্ষণ এই ঢালকে ফেলে দেওয়া না হয়"। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)

এক সাহাবি জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুল আল্লাহ! রোজা আবার কী করে ফেড়ে যায়? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মিথ্যা এবং গীবত দ্বারা। এখানে মুখের দ্বারা বড় দুটো গুনাহ’র কথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দ্বারা যত গুনাহ হয় সব থেকে বিরত থাকতে হবে, বিরত না থাকলে রোজা ভালো থাকবে না। এভাবে সব গুনাহ থেকে বিরত থাকলে এই এক মাসেই গুনাহমুক্ত জীবন-যাপন করার একটা অভ্যাস গড়ে উঠবে। একটা পবিত্র জীবনের সূচনা হবে। উপবাসে রেখে মানুষকে কষ্ট দেওয়া রোজার উদ্দেশ্য নয় আর শুধু অনাহার থাকার নামও রোজা নয়—বরং পরিপূর্ণভাবে রোজার আদব ও নীতিমালা অনুসরণ করলেই রোজার প্রকৃত হক আদায় হবে।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে রোজার হক যথাযথভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন আমীন।

লেখক: মুহাদ্দিস, জামায়া মাদানিয়া, বারিধারা।

Share This Article

শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল

চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

তাপপ্রবাহ নিয়ে সুখবর দিলো আবহাওয়া অফিস

নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়া: অপু

থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ নথি সই, চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন ঢাকার প্রত্যাখ্যান

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আশা প্রধানমন্ত্রীর

দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, বিএনপি দেখে না: কাদের

মার্কিন চাপ নয়, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হলেই জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস