২০৩০ সালের মধ্যে মিলতে পারে ক্যানসারের টিকা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ০৯:৩৪, সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১ কার্তিক ১৪২৯

ক্যানসারের টিকা নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন এক জার্মান বিজ্ঞানী দম্পতি। এ যুগল করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের সফল আবিষ্কারক। এবার তারা বলছেন, আগামী এক দশকের মধ্যেই রোগীদের জন্য সহজলভ্য হতে পারে ক্যানসারের ভ্যাকসিন।

 তাদের দাবি করোনা চিকিৎসায় মেসেনজার আরএনএ (এমআরএনএ) প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ক্যানসারের টিকা নিয়ে নতুন দিশা পেয়েছেন তারা। খবর বিবিসির।

২০০৮ সালে জার্মানির মেইঞ্জ শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জার্মান বিজ্ঞানী দম্পতি অধ্যাপক উগুর সাহিন ও ওজলেম তুরেসি। তারা বলছেন, ফাইজার-বায়োএনটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের আবিষ্কার এবং সাফল্যই ‘আমাদের ক্যানসারের কাজে ফিরিয়ে নিয়েছে’।

বিবিসির সানডে অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ জার্মান দম্পতি ক্যানসারের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আদ্যোপান্ত জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, তাদের এমআরএনএ প্রযুক্তির ব্যবহার করোনা মহামারীতে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। এ দম্পতি বলেন, করোনা টিকা আবিষ্কারের সেই অভিজ্ঞতা তাদের কাজে উৎসাহ জুগিয়েছে। প্রচলিত সব ভ্যাকসিন ভাইরাসের দুর্বল একটি সংস্করণকে ব্যবহার করে উৎপাদিত হলেও এমআরএনএ প্রযুক্তিতে ভাইরাসের কেবল জেনেটিক কোড ব্যবহার করা হয়।

কবে নাগাদ বিশ্বের সব রোগীর কাছে ক্যানসারের টিকা সহজলভ্য হতে পারে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক সাহিন বলেছেন, ২০৩০ সালের আগেই এটি হতে পারে। আর তুরেসি বলেছেন, ‘আমরা শিখেছি কীভাবে আরও ভালো, আরও দ্রুত ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়। আমরা বিপুলসংখ্যক মানুষের মাঝে ইমিউন সিস্টেম কীভাবে এমআরএনএর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটি শিখেছি।’ তিনি বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের আবিষ্কার নিয়ন্ত্রকদের এমআরএনএ ভ্যাকসিন এবং কীভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে হয় সে সম্পর্কে জানতে সাহায্য করেছে। এতে ক্যানসারের টিকা তৈরির গতি ত্বরান্বিত হবে বলে জানান তিনি।

ক্যানসারের টিকা আবিষ্কারের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও সতর্কতা উচ্চারণ করেছেন এ দম্পতি। অধ্যাপক তুরেসি বলেছেন, ‘আমাদের কাছে ক্যানসারের টিকা থাকবে, বিজ্ঞানী হিসেবে আমরা এভাবে বলতে সব সময় দ্বিধাবোধ করি। আমাদের অনেক সফলতা রয়েছে এবং আমরা সেগুলোর ওপর কাজ চালিয়ে যাব।’

বিষয়ঃ আবিষ্কার

Share This Article