খেলা শেষ? ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে ঘাঁটি ব্যবহারে না

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৪৪, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩০

১৯৯০ সালের আগস্টে ইরাক কর্তৃক পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র কুয়েত আক্রমণ ও দখলের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ আরম্ভ হয় এবং ১৯৯১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে কুয়েত থেকে ইরাকি সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের অবসান ঘটে।

১৯৯১ সালের উপসাগরীয় যুদ্ধে ফিরে যাওয়া যাক। যেটি ‘ইরাক-কুয়েত যুদ্ধ’, ‘প্রথম উপসাগরীয় যুদ্ধ’, ‘অপারেশন ডেজার্ট স্টর্ম’, ‘অপারেশন ডেজার্ট শিল্ড’ বা ‘মাদার অফ অল ব্যাটলস’ নামেও পরিচিত। যুদ্ধটি সংঘটিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোট ও ইরাকের মধ্যে। 

 

১৯৯০ সালের আগস্টে ইরাক কর্তৃক পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র কুয়েত আক্রমণ ও দখলের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধ আরম্ভ হয় এবং ১৯৯১ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের প্রচণ্ড আক্রমণের মুখে কুয়েত থেকে ইরাকি সৈন্য প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে এই যুদ্ধের অবসান ঘটে।

তবে সেসময় আঞ্চলিক উত্তেজনার মধ্যেও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভূখণ্ড বা আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে কোনো হামলা চালাতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।


একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তাসহ একাধিক সূত্র মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছে, কূটনৈতিক বলয় ব্যবহার করে উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলো অধিক সময় ধরে টিকে রয়েছে। এজন্য ‘তাদের রাজ্যের ভেতরের ঘাঁটি থেকে তেহরান বা তার মিত্রদের বিরুদ্ধে মার্কিন হামলা বন্ধ করার সব উপায় রয়েছে’।

আঞ্চলিক রাজতন্ত্র বলয়ের মধ্যে রয়েছে হেভিওয়েট সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান এবং কুয়েত। তাদের নেতৃত্বে মার্কিন ঘাঁটি চুক্তির বিশদ বিবরণে ‘প্রশ্ন উত্থাপন’ এবং ইসলামের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ইরানের ঘাঁটি ব্যবহার রোধ করার অভিযোগ রয়েছে।


ন্যাটো সদস্য তুরস্কও তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করে ইরানের বিরুদ্ধে হামলা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাধা দিয়েছে। তবে স্পুটনিক স্বাধীনভাবে এই তথ্য যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।

শুক্রবার মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেদনে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ইরান ব্যক্তিগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে বলেছে- ওয়াশিংটন যদি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তবে তারা মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকান বাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু করবে।

 

মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত ঘাঁটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ হাজারের অধিক সৈন্য রয়েছে। যার মধ্যে কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে ১০ হাজার সৈন্য রয়েছে। বাহরাইনে ৭ হাজার সৈন্য এবং মার্কিন পঞ্চম নৌবহর রয়েছে- যা পারস্য উপসাগর, লোহিত ও আরব সাগর এবং ভারত মহাসাগরের অংশে কাজ করে। কুয়েতে ১৫ হাজারের অধিক সৈন্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতে অন্তত ৫ হাজার এবং সৌদির প্রিন্স সুলতান বিমান ঘাঁটিতে প্রায় ২ হাজার ৭০০ সৈন্য এবং যুদ্ধবিমান রয়েছে।  

 

এদিকে উপসাগরীয় শক্তির স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি ওয়াশিংটনের জন্য সম্ভাব্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বহু দশক ধরে টিকে রয়েছে তেলসমৃদ্ধ উপসাগরীয় রাজতন্ত্রের কারণে।

এছাড়া হামাস-ইসরায়েল সংঘাত উপসাগরীয় রাষ্ট্রের নেতা এবং তাদের দেশের জনগণের সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপনের ধারণা থেকে আরও দূরে সরিয়েছে। গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের পূর্ণ সমর্থন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এসব দেশগুলোর সম্পর্ক আরও শীতল করেছে। 

Share This Article


পরের জন্মে বাংলায় জন্মগ্রহণ করতে চাই: নরেন্দ্র মোদি

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের পদত্যাগ

আমেরিকা ছাড়িয়ে ইউরোপে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল

মার্কিন চাপ নয়, যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধ হলেই জিম্মি মুক্তি দেবে হামাস

নেতানিয়াহুর পদত্যাগ চান ন্যান্সি পেলোসি

এআই নীতিমালা : সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ

কমলা রঙে ঢেকে গেছে গ্রিসের আকাশ

৭ বছর পর পুরুষ থেকে নারী হলো জলহস্তীটি!

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

তিউনিসিয়ার উপকূল থেকে ১৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীর লাশ উদ্ধার

গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি