রোজায় হাতে ভাজা মুড়ির কদর বেড়েছে সখীপুরে

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৫৫, শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৪, ৯ চৈত্র ১৪৩০

হাতে ভাজা মুড়ি স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর টাঙ্গাইল ও রাজধানী ঢাকায় রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলার কৈয়ামধু, কালিদাস, বেড়বাড়ী ও রতনপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার আংশিকভাবে মুড়ি ভাজা পেশার সঙ্গে জড়িত। 

রমজানে মুড়ি ছাড়া ইফতারি কল্পনাই করা যায় না। বাণিজ্যিক কারখানায় তৈরি মুড়িতে সয়লাব বাজার। কারখানায় তৈরি ধবধবে সাদা এসব মুড়ি আকারে যেমন বড়, দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। বাজারেও ভালো চাহিদা রয়েছে এসব মুড়ির। তবে টাঙ্গাইলের সখীপুরে দিনে দিনে চাহিদা বাড়ছে হাতে ভাজা ছোট ছোট লালচে মুড়ির। দারুণ স্বাদ ও ভেজালমুক্ত হওয়ায় রোজায় কদর বেড়েছে হাতে ভাজা মুড়ির। নিজেদের বাড়িতে তৈরি মুড়ি বিক্রি করে বর্তমানে সংসার চালাচ্ছেন অনেকেই।


এসব হাতে ভাজা মুড়ি স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে জেলা শহর টাঙ্গাইল ও রাজধানী ঢাকায় রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলার কৈয়ামধু, কালিদাস, বেড়বাড়ী ও রতনপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার আংশিকভাবে মুড়ি ভাজা পেশার সঙ্গে জড়িত। উপজেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমে কৈয়ামধু গ্রাম। ওই গ্রামকে সখীপুরের অনেকেই মুড়ির গ্রাম হিসেবেই চেনে।

 


মুড়ি ভাজার কাজ করা গ্রামের নারীরা জানান, এক কেজি চালে ৯০০ গ্রাম মুড়ি হয়। ভোর থেকে বেলা চারটা পর্যন্ত একটানা ভাজলে একদিনে প্রায় দুই মণ চালের মুড়ি ভাজা যায়। দিনে ২ জন মিলে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা আয় করা যায়। তবে মুড়ি ভাজায় অনেক পরিশ্রম।

তারা আরও জানান, বাজারের কারখানার মুড়িতে ভেজাল থাকলেও আমাদের হাতে ভাজা মুড়িতে ভেজাল নেই।

নারীদের সঙ্গে এই কাজে যুক্ত হচ্ছেন তাদের স্বামীরাও। স্বামী-স্ত্রী মিলেমিশে মুড়ি ভাজার দৃশ্য দেখা গেছে বিভিন্ন বাড়িতে।

সখীপুরের মুড়ি ব্যবসায়ী তমিজ উদ্দিন বলেন, উপজেলায় বর্তমানে কৈয়ামধু, বেড়বাড়ী, কালিদাস ও রতনপুর গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে হাতে ভাজা মুড়ির কারখানা গড়ে উঠেছে। আমি গ্রাম থেকে মুড়ি কিনে টাঙ্গাইল, গাজীপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা শহরের বড় বড় ব্যবসায়ীর গুদামে পাঠিয়ে দিই।

তিনি আরও বলেন, হাতে ভাজা মুড়ির চাহিদা সারা বছর থাকলেও রমজানে এর পাঁচগুণ চাহিদা বাড়ে। বর্তমানে হাতে ভাজা প্রতি কেজি মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article