সাজা স্থগিতের আদেশ বাতিল : বছরের মাঝামাঝি সময়ে জেলে যাবেন ইউনুস!
শ্রম আইনের মামলায় তিনি যে ছয় মাসের জামিন নিয়েছেন তা শেষ হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। এরপরই একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। হতে পারে সেই সিদ্ধান্তটি ড. ইউনূসের পক্ষে না গেলে তাকে কারাগারে বাধ্যতামূলক যেতে হবে।
"কোন মামলায় জামিন দেওয়া মানেই দণ্ড স্থগিত হয়ে যাওয়া। দোষী সাব্যস্তকরণ স্থগিত হয় না।" তাই শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের সাজার রায় ও আদেশ স্থগিত করে দেয়া শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে।
গত ১৮ মার্চ হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দিয়ে বলেছেন, যতক্ষণ অধ্যাপক ইউনূসসহ চারজন জামিনে রয়েছে, সাজা স্থগিত থাকবে। শ্রম আদালতের দেয়া জরিমানাও স্থগিত থাকবে। একই সাথে দেশের বাইরে গেলে ইউনূসসহ চারজনকে সংশ্লিষ্ট আদালতে অবহিত করতে হবে।
আর এ রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরই মাঝামাঝি সময় নাগাদ ড. ইউনূসের কারাবরণের ব্যাপারে একটি চূড়ান্ত পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। কারণ শ্রম আইনের মামলায় তিনি যে ছয় মাসের জামিন নিয়েছেন তা শেষ হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। এরপরই একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। হতে পারে সেই সিদ্ধান্তটি ড. ইউনূসের পক্ষে না গেলে তাকে কারাগারে বাধ্যতামূলক যেতে হবে।
তবে এটি ড. ইউনূসের কারাগারে যাওয়ার একমাত্র উপলক্ষ্য নয়। ইতোমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। কিন্তু এই চার্জশিট দাখিলের পরও ড. ইউনূস আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। এখন এই জামিন যতদিন বহাল থাকবে ততদিন অর্থপাচার মামলায় ড. ইউনূসকে কারাগারে যেতে হবে না। কিন্তু যে কোন কারণে এই জামিন বাতিল হলে অর্থ পাচার মামলাতেও ইউনূসকে কারান্তরীণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন দেখার বিষয় এসব মামলা থেকে জামিন নিয়ে ড. ইউনূস কতদিন বাইরে থাকেন।