নির্বাচন বয়কট মানেই অগ্রহণযোগ্য নয় : বিদেশি পর্যবেক্ষক
নির্বাচন বয়কট মানে এই নয় যে নির্বাচন অবৈধ কিংবা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। ভোট কেন্দ্রগুলোতে নারী ও তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ যথেষ্ট ভালো ছিলো। প্রিসাইডিং অফিসাররা দারুণভাবে কাজ করেছেন। কাজেই গ্রহণযোগ্যতার মানদন্ডে এই নির্বাচন শতভাগ সফল।
সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কতটা অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে তা এ দেশের জনগণ, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম নির্ধারণ করবে। কোনো রাজনৈতিক দল বয়কট করলে বা ভোটারের কম উপস্থিতির কারণে নির্বাচন কখনোই অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হয় না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণের অভিক্ষতা নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্যই করেছেন বাংলাদেশে আগত বিদেশি পর্যবেক্ষকদলের কয়েকজন সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের নির্বাহী পরিচালক পাওলো কাসাভা বলেন, নির্বাচন বয়কট মানেই এই নয় যে নির্বাচন অবৈধ কিংবা অংশগ্রহণমূলক হয়নি। আমরা বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়েছি, সেখানে বহু মানুষ স্বাধীন ভাবে ভোট দিয়েছে। আমাদের ঘুরে দেখা কেন্দ্রগুলোতে নারী ও তরুণ ভোটারদের অংশগ্রহণ যথেষ্ট ভালো ছিলো। প্রিসাইডিং অফিসাররা দারুণভাবে কাজ করেছেন। কাজেই গ্রহণযোগ্যতার মানদন্ডে এই নির্বাচন শতভাগ সফল।
কানাডার পার্লামেন্ট সদস্য চন্দ্রকান্ত আর্য বলেন, যারা ভোট বর্জন করেছে, সেটা তাদের বিষয়, এটা আমাদের বিষয় না। কানাডায়ও ভোট ৪৩ শতাংশ পড়েছিল, সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। জনগণ ভোট দিতে পারছে কি না, এটাই দেখার বিষয়। ভোটার কত শতাংশ এলো তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যারা এসেছে, তারা ঠিকমতো ভোট দিয়েছে নির্বিঘ্নে। তাই এ নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কারণ কোন নেই।