খোকন সেরনিয়াবাত প্রার্থী হবার পরই কমে গেছে বরিশাল সিটির অধিকাংশ চাঁদাবাজি!

- খোকন সেরনিয়াবাত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়ায় পাল্টে যায় বরিশালের দৃশ্যপট।
- চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত সকলে দেয় ঘা ঢাকা।
- শান্তি বিরাজ করছে নগরী জুড়ে। খুশি সাধারণ জনগণ।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নামে-বেনামে প্রায় প্রত্যেকটা সেক্টরে চাঁদা দিতে হত নগরবাসীকে। আতঙ্কিত ছিল সাধারণ মানুষ। তবে আসন্ন সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে খোকন সেরনিয়াবাত মনোনয়ন পাওয়ার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। ইদানিং চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত সকলে ঘা ঢাকা দেওয়ায় আর আসছে না কোনো হুমকি ধমকি। ফলে শান্তি ফিরেছে নগরীবাসীর মনে।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সিটি মেয়র নির্বাচিত হওার পর নগরীতে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির ঘটনা। অভিযোগ রয়েছে, সাদিকের অনুসারী পরিবহন, লঞ্চঘাট-খেয়াঘাট, হাট-বাজার ও ফুটপাতে দোকান বসিয়ে সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং চাঁদা দাবি করতেন। টাকা না দিলে ভাঙচুরেরও অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। খোকন সেরনিয়াবাত প্রার্থী হবার পরই চাঁদাবাজরা আত্মগোপনে চলে যায়। এতে শান্তি বিরাজ করছে নগরী জুড়ে। এতে খুশিও সাধারণ জনগণ।
সম্প্রতি মেয়র পদে নৌকার প্রচারণায় গিয়ে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে হুশিয়ার দিয়ে খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, আমি নির্বাচিত হলে বরিশাল সিটিতে কোনো চাঁদাবাজি থাকবে না। কেননা জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে সারাদেশে কোথাও চাঁদাবাজির খবর নেই। অথচ আমাদের বরিশালের প্রায় সব সেক্টরে চাঁদাবাজির খবর আসতো এটা এখন বন্ধ হয়েছে । নির্বাচিত হলেও চাঁদাবাজের এই দৈরত্ম্য আর ফিরে আসবে না।
ভোটাররা বলছেন, বরিশাল নগরবাসী চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মিদশার মধ্যে ছিল, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুঝতে পেরেই খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দিয়েছেন। নিরহংকার, সজ্জন ব্যক্তি খোকন সেরনিয়াবাত নির্বাচিত হলে চাঁদাবাজদের কোন দৌরাত্ম থাকবে না নগরীতে। ফলে বরিশাল সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে ভোটের মাঠেও এগিয়ে রাখছেন শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ।