স্মার্ট বাজেটে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’

বৈশ্বিক সংকট থাকলেও দেশের অর্থনীতির নানান হিসাব-নিকাশ কষে এই ‘স্মার্ট বাজেট’ নিয়ে এসেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘স্মার্ট সিটিজেন’, ‘স্মার্ট গভর্নমেন্ট’, ‘স্মার্ট সোসাইটি’ আর ‘স্মার্ট ইকোনমি’র মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
চলছে নির্বাচনী বছর। এর মধ্যেই আরেকটি জাতীয় বাজেট উপহার দিলো আওয়ামী লীগ সরকার। বৈশ্বিক সংকট থাকলেও দেশের অর্থনীতির নানান হিসাব-নিকাশ কষে এই ‘স্মার্ট বাজেট’ নিয়ে এসেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ‘স্মার্ট সিটিজেন’, ‘স্মার্ট গভর্নমেন্ট’, ‘স্মার্ট সোসাইটি’ আর ‘স্মার্ট ইকোনমি’র মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। তাই এবারের বাজেটকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের পথে ‘প্রথম বাজেট’ বলা হচ্ছে।
পয়লা জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে গতি বাড়িয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই বাজেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তথ্যমতে, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন আর ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বাংলাদেশ। আর স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় হবে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার, দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে তিন শতাংশের কম মানুষ। একই সঙ্গে চরম দারিদ্র্য নেমে আসবে শূন্যের কোঠায়। এছাড়া মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে চার-পাঁচ শতাংশে এবং বাজেট ঘাটতি থাকবে জিডিপি’র মাত্র পাঁচ শতাংশের নিচে। রাজস্ব জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের ওপর ও বিনিয়োগ হবে জিডিপি’র ৪০ শতাংশ।
স্মার্ট বাংলাদেশে অর্জিত হবে শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক স্বাক্ষরতা। সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্যসেবা। স্বয়ক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেকসই নগরায়নসহ হাতের নাগালে থাকবে প্রয়োজনীয় সব সেবা। প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা। এজন্য এখন থেকেই বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেকারত্ব মোচনেও নেয়া হয়েছে ভিন্নমুখী উদ্যোগ। বাড়ানো হয়েছে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও।
এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা। একই সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থবছরের পুরো সময় থাকবে সরকারের নানা ধরনের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। ফলে বৈশ্বিক নানামুখী সংকটেও সুপরিকল্পিত বাজেট প্রণয়নে দেশের অর্থনীতি বছরজুড়ে থাকবে স্থিতিশীল। এছাড়া একধাপ এগিয়ে যাবে ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশের যাত্রাও। এমনটাই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।