দেশের সবচেয়ে গভীর চ্যানেল এখন পায়রা বন্দরে, ভিড়বে ৫০ হাজার টনের জাহাজও
খন থেকে বড় মাদার ভেসেল সহজেই বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। চলতি মাসেই বিদেশি সাতটি জাহাজ আসবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ৫০ হাজার মেট্রিকটন পণ্য নিয়ে সরাসরি পায়রা বন্দরের জেটিতে পণ্য খালাসের জন্য নোঙর করবে।
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে পুরোপুরি যাত্রা শুরু করলো দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রা। এর আগে ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বন্দরের আনুষ্ঠানিক পণ্য খালাস কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন থেকেই বন্দরটিতে সীমিত পরিসরে আমদানি-রপ্তানি চলছে। তবে নাব্যতা না থাকায় কোন মাদার ভেসেল জেটিতে ভিড়তে পারতো না।
এ সমস্যার সমাধানে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে পলি অপসারনের কাজ শুর করে বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান দে নুল। প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০০-১২৫ মিটার প্রস্থবিশিষ্ট চ্যানেল থেকে প্রায় ৯ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পলি অপসারণের পর মাদার ভেসেল চলাচলের উপযোগী হয় পায়রা বন্দর। ড্রেজিংয়ের ফলে চ্যানেলটির গভীরতা সাড়ে দশ মিটারে উন্নীত হয়েছে, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে গভীরতম।
সূত্রমতে এখন থেকে বড় মাদার ভেসেল সহজেই বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। চলতি মাসেই বিদেশি সাতটি জাহাজ আসবে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ৫০ হাজার মেট্রিকটন পণ্য নিয়ে সরাসরি পায়রা বন্দরের জেটিতে পণ্য খালাসের জন্য নোঙর করবে।
শুধু ড্রেজিংই নয় সমান তালে ইনার ও আউটারবারে মার্কিং, বয়াবাতি বসানো হয়েছে। ইনারবারে ১৫টি জাহাজ রাখা যাবে। সেখানে লোডিং আনলোডিং কার্যক্রম চলবে। জলপথে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে নিকটবর্তী বন্দর হলো পায়রা। তাই পায়রা বন্দর হয়ে উঠবে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের দ্বার। স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট বন্দর হবে 'পায়রা'।