হাজারো বন্দিকে ক্ষমা করলেন আয়াতুল্লাহ খামেনি
দেশটিতে হিজাব না পরার কারণে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে নৈতিকতা পুলিশ। আটকের পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির…
ইরানে সম্প্রতি সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে বহু মানুষকে আটক করা হয়। অবশেষে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কয়েক হাজার বন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়।
৫ ফেব্রুয়ারি ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে এ তথ্য। খবর রয়টার্সের।
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কর্তৃক অনুমোদিত ক্ষমার কথা জানা গেলেও এতে শর্ত রয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা ইরানে বন্দি দ্বৈত নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরও বলছে, যারা দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ, বিশেষ করে যাদের মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদেরও ক্ষমা করা হবে না। বিদেশি সংস্থার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি বা যারা ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের প্রতিকূল গোষ্ঠীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তাদের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য হবে না।
দেশটিতে হিজাব না পরার কারণে গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে তেহরান থেকে আটক করে নৈতিকতা পুলিশ। আটকের পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয় ইরানজুড়ে। এ বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক ধরপাকড় চলে দেশটিতে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই বিক্ষোভ সহিংসতায় ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৭০ জনই কম বয়সী। এ ঘটনার জেরে ফাঁসি কার্যকর করা হয় ৪ জনের।
ধারণা করা হচ্ছে, ফাঁসি কার্যকর করা শুরু হওয়ার পর থেকে বিক্ষোভ অনেকটাই কমে গেছে দেশটিতে।