আইভীর নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমূরের হাতি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:২৪, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২১, ১৩ পৌষ ১৪২৮
আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার
আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীক সংগ্রহ করেছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার প্রতীক পেয়েছেন হাতি।

মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচন কার্যালয়ের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার তাদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দেন। তাছাড়া নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নেয়া আরও পাঁচ প্রার্থী তাদের নির্ধারিত প্রতীক বুঝে নিয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার জানান, প্রতীক বরাদ্দের সময় মেয়র প্রার্থীদের আচরণবিধি মানতে কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বুধবার থেকে প্রচার-প্রচারণা করতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রতিটি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তৎপরতা থাকবে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে বিদ্যমান আইনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নৌকা প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ যারা নগরীর বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরছেন তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছেন। বিগত পাঁচ বছরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে নগরবাসীর কোনো অভিযোগ ছিল না। একজন প্রার্থী নির্বাচনী সুবিধা নিতে অভিযোগ ছুড়ে দিচ্ছেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারকে উদ্দেশ্য করে আইভী বলেন, আপনার বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে যে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করেন সেই রাস্তাটিও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের করা। যে ২৭টি ওয়ার্ডে আপনি ছুটছেন সেগুলোও সিটি করপোরেশনের করা।

আইভি বলেন, আমি ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে কোনো সুযোগ-সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করিনি। আমার দ্বারা নির্বাচনী কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়নি। বরং তৈমূর আলম খন্দকার ওয়ার্ডগুলোর মসজিদে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট চেয়েছেন। আমি আজ থেকে প্রচরকাজ শুরু করবো।

সাবেক এই মেয়র আরও বলেন, আমি কাজের বেলায় দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ দেখিনি। আমি চেষ্টা করেছি সাধারণ মানুষের সেবা করার। আমি মানুষের জন্য কাজ করেছি। আশা করবো ভোটাররাও আমার পাশে এসে দাঁড়াবেন এবং আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করবেন।

হাতি প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, আগের নির্বাচনে আমি দলের প্রার্থী ছিলাম। তাই দলের নির্দেশে সেই সময় আমাকে বসে যেতে হয়েছে। তবে এবার আর আমি বসছি না।

তৈমূর আলম বলেন, ২০১৬ সালের নির্বাচনে দল আমাকে মনোনয়ন দিতে চাইলেও তখন আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করিনি। কিন্তু এবার জনগণের চাহিদার প্রেক্ষিতে জনগণের প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। জনগণ আমার পাশে আছে এবং তারাই আমাকে নির্বাচিত করবে।

হাতি প্রতীকের প্রার্থী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী কারো কাছ থেকে কোনো অনুমতি না নিয়েই সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের নিয়ে জনসভা করে ভোট চেয়েছেন। এখানে প্রশাসন বোবা ও অন্ধের ভূমিকা পালন করেছে।

সাংসদ শামীম ওসমান প্রসঙ্গে তৈমূর বলেন, তারা একই দলের লোক। নৌকার পক্ষে তিনি থাকতেই পারেন। কিন্তু জনগন আমার পাশে আছে। তৈমূর বলেন, হাতি যদি নৌকায় উঠে তাহলে নৌকার কি তলি থাকে? হাতি যখন নৌকার উপর উঠে গেছে আপনারা দেখবেন আল্লাহ্ কী করেন।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article