নানা রঙের পোশাকে পলোগ্রাউন্ড মাঠে আ.লীগ নেতাকর্মীরা
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে পলোগ্রাউন্ড মাঠে ঢুকতে শুরু করছেন নেতাকর্মীরা। রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাতটা থেকে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা, থানা পর্যায় থেকে বাস, অটোরিকশা, নৌকা ও স্টিমারসহ নানা বাহনে পলোগ্রাউন্ডে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা।
তবে মাঠে ঢুকতে দেয়া হয় ৯টার পর। এরই মধ্যে মাঠের ভেতরে অবস্থান নিয়েছেন পটিয়া, সন্দ্বীপ ও রাউজানসহ বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা। এক এক এলাকার কর্মীরা এক এক রঙের টি শার্ট পরে এসেছেন। এর মধ্যে লাল রঙের টি শার্টে পটিয়া, কমলা রঙের টি শার্টে সন্দ্বীপ আর গোলাপি রঙের টি শার্টে রাউজানের নেতাকর্মীরা এসেছেন।
বিকেল ৩টায় শেখ হাসিনার জনসভায় ভাষণ দেয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরী। তাকে স্বাগত জানাতে সড়কগুলোর সৌন্দর্যবর্ধন ছাড়াও দৃষ্টিনন্দন তোরণ এবং ঝলমলে আলোকসজ্জায় বর্ণিল হয়ে ওঠেছে চট্টগ্রাম নগরী।
এরই মধ্যে প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয় উদ্যোগে নগরের পলোগ্রাউন্ডে জনসভার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রচার-প্রচারণায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে বন্দরনগরীতে।
সন্দ্বীপের ১৫টি ইউনিয়ন থেকে ১৫ হাজার নেতাকর্মী এসেছে দাবি করে এমপি মাহফুজুর রহমান মিতা বলেন, বিভিন্ন ট্রলার ও বোটে করে শনিবার রাতে আমরা রওনা হয়েছি। সকাল সাতটায় চট্টগ্রাম সদর ঘাট এলাকায় নেমেছি এবং ৯টার দিকে পলোগ্রাউন্ডে সব নেতাকর্মী প্রবেশ করেন।
রাউজানের এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, আমরা সকাল সাতটায় পলোগ্রাউন্ড মাঠে এসেছি। যতক্ষণ জনসভা চলবে ততক্ষণ সবাই থাকব। রাউজান থেকে ২০ হাজার নেতাকর্মী এসেছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
একই রকম দাবি পটিয়ার এমপি হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর। তিনি বলেন, এক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই নিজ সংসদীয় এলাকায় আমরা বর্ধিত সভা, কর্মী সভা ও প্রস্তুতি সভা করেছি; ওয়ার্ড থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত। পটিয়া থেকে ২১-২২ হাজার লোক জনসভায় উপস্থিত হয়েছে বলে দাবি হুইপের।
পৌনে ৫ লাখ বর্গফুটের পলোগ্রাউন্ড ময়দানের শেষপ্রান্তে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে জনসভা মঞ্চ। সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের এ মঞ্চে অভ্যাগতদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূল মঞ্চ থেকে ৩০ মিটার সংরক্ষিত রেখে পশ্চিমে গুরুত্বপূর্ণ অতিথিদের বসার জন্য আলাদা মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। পূর্বদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এবং মাঝখানে নারীদের জন্য নির্দিষ্ট স্থান সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
পলোগ্রাউন্ড মাঠে এর আগে ২০১২ সালের ২৮ মার্চ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মহাসমাবেশে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছিলেন।
এবারের জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে আওয়ামী লীগ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। দলের নেতারা আশা করছেন, এটি হবে এ যাবৎকালে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ।