রাগের বশে শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে ফেললো পুত্রবধূর!
- ঝগড়া থামাতে গিয়ে পুত্রবধূর হাতে অণ্ডকোষ হারালেন শ্বশুর
- ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরের ময়না থানার নারকেলদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে
- ২৭ বছরের তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
ছেলে-পুত্রবধূর ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণান্তকর পরিস্থিতির মুখে পড়লেন বৃদ্ধ শ্বশুর। রাগের বশে বৃদ্ধের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল বউমার বিরুদ্ধে!
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মেদিনীপুরের ময়না থানার নারকেলদহ গ্রামে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম শিখা হাইত। ২৭ বছরের তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, শিখা চেয়েছিলেন পূজার আগে বাপের বাড়ি যেতে। কিন্তু স্ত্রীকে বাপের বাড়ি যেতে বাধা দেন স্বামী বিশ্বজিৎ।
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। এ সময় ছেলে-বউমার ঝগড়া থামাতে যান ৭৫ বয়সি বৃদ্ধ শ্বশুর।
রাগের মাথায় শ্বশুরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন শিখা। এর পর তার অণ্ডকোষ টেনে ছিঁড়ে ফেলেন তিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিশ্বজিতের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ময়না থানার পুলিশ তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু আচমকা কেন এমন হিংস্র হয়ে উঠলেন গৃহবধূ, কেনই বা তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন?
এ নিয়ে তমলুকের প্রখ্যাত চিকিৎসক আলোক পাত্র বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষ অল্পতেই প্রচণ্ড হিংস্র হয়ে যান। এর অন্তর্নিহিত কারণ লুকিয়ে আছে সমাজের প্রাত্যহিক জীবনের প্রেক্ষাপটে।
ছোট পরিবার, একা থাকার অভ্যাস, সমাজমাধ্যমে এক টানা ডুবে থাকা ইত্যাদি এ জন্য দায়ী।’ওই তরুণী যেভাবে শ্বশুরের অণ্ডকোষ ছিঁড়ে ফেলেছেন, তা একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। কী কারণে নারী শ্বশুরের গোপনাঙ্গে হামলা চালালেন সেদিকটিও বিশেষভাবে দেখা জরুরি। রাগের মাথায় অন্য জায়গায় তো হামলা করা যেত।
যদি দুর্ঘটনাজনিত কারণে এমনটি ঘটে থাকে তা হলে সেটি সাময়িক রাগের বহিঃপ্রকাশ। আর যদি গৃহবধূটি জেনেবুঝেই এ হামলা করেন, তা হলে এর পেছনে শারীরিক সম্পর্কের টানাপড়েনের বিষয়টিও লুকিয়ে থাকতে পারে।