‘দুবাইয়ের পণ্য’ তৈরি হচ্ছে মুন্সীগঞ্জে, বিক্রি সারাদেশে

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১০, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৪ ফাল্গুন ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি সেমি পাকা ভবনে উৎপাদিত হচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ভেজাল পণ্য। এসব পণ্য বাজারে ছড়িয়ে দিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা, যা কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন উপজেলার টেঙ্গারচর ইউনিয়নের বিশ্বদ্রোন ভাটেরচর এলাকায় ভারতীয় জনপ্রিয় টাইলস ক্লিনার ভিক্সল এবং দুবাই থেকে উৎপাদিত রেক কনমিক্স টাইলস পুডিং, লায়ন হোয়াইট সিমেন্টসহ আরও কিছু জনপ্রিয় পণ্যের ভেজাল তৈরি করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কারখানাটিতে অভিজ্ঞ কোনো কেমিস্ট নেই, কাজ করছেন কয়েকজন যুবক। তাদের কেউ এসব পণ্য তৈরি করছেন, কেউ প্যাকেজিং করছেন। এসব পণ্যের মোড়কে আগে থেকেই উৎপাদনের তারিখ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ দেওয়া। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের অবস্থান দেখানো হয়েছে ভারত ও দুবাইয়ে।

করখানাটির একজন শ্রমিক জানান, স্থানীয় বাসিন্দা জিল্লুর রহমানের ছত্রছায়ায় জয়দীপ বর্মন নামের একজন এই কারখানা পরিচালনা করেন। গত চার বছর ধরে কারখানার কার্যক্রম চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ‘এখানে ড্রাম ভর্তি করে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল আনা হয়। ছোট্ট একটি বাসায় উৎপাদন করা হয়, বিভিন্ন রকমের পণ্য। এসিডসহ যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, তা অত্যন্ত দাহ্য। বিষয়টা নিয়ে আমরা সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকি।’

স্থানীয় বাসিন্দা রাজন বলেন, ‘কারখানায় নকল পণ্য তৈরি হয়, তা আমরা সবাই জানি। এ সকল পণ্য বিপণনে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা আছে। তাদের নিজস্ব লোকজন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে এসব পণ্য বিক্রি করেন, যা কিনে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন।’

কারখানার পরিচালক জয়দীপ বর্মন বলেন, ‘আমরা যা করছি, এখানে কোনো কিছু অন্যায় করা হচ্ছে না। সবার চোখের সামনে, আর নিয়ম মেনে এখানে এসব পণ্য তৈরি করা হচ্ছে।’

কেন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মোড়কে তাদের পণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে, সাংবাদিকদেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ সকল মোড়ক আমি ঢাকা থেকে কিনে এনে ব্যবহার করছি। আমার মতো অনেকেই এই কাজ করে থাকেন, এখানে কোনো অন্যায় হয়েছে বলে আমি মনে করি না।’

কারখানার মালিক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘সবার চোখের সামনে দীর্ঘ দিন ধরে আমি কারখানা পরিচালনা করছি। এটা যদি অন্যায় হতো তাহলে এত দিন আমি কারখানা চালাতে পারতাম না।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মোকাররম হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। এই কারখানাটির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। আমি নিজেও বেশ কয়েকবার তাদের এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।’

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত হয়েছি। যদি এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তারা জড়িত হয়ে থাকে, তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


নেত্রকোনায় ‘জঙ্গি আস্তানা’য় সোয়াট, আরও একটি বাড়ি ঘেরাও

সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা, পুলিশ কনস্টেবল সাত দিনের রিমান্ডে

‘এটা কীভাবে হয়ে গেল, আমি জানি না’

দুদকের কাছে সময় চাইলেন বেনজীরের স্ত্রী ও ৩ কন্যা

নেত্রকোনায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

জাল টাকার ‘মাফিয়া’ জাকির আটক

আনোয়ারুল আজিমকে বালিশ চাপা দেন তানভীর

বেনজীরের জমি থেকে উধাও হচ্ছে সাইনবোর্ড

স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ফ্ল্যাটে ওঠেন শাহীন-শিলাস্তি

বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা

এমপি আজিম হত্যায় আরও ২ জনের নাম পেয়েছে ডিবি

সেন্টমার্টিন-ইনানীতে বেনজীরের বিপুল পরিমাণ জমি