কৃষ্ণচূড়ার ওষধি ব্যবহার

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:৪৮, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩০

কৃষ্ণচুড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। 

কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Delonix regia। এটি Fabaceae পরিবারের অন্তর্গত। এটি গুলমোহর নামেও পরিচিত। কৃষ্ণচূড়া উদ্ভিদ উচ্চতায় কম (সর্বোচ্চ ১২ মিটার) হলেও শাখা-পল্লবে এটি বেশি অঞ্চল ব্যাপী ছড়ায়।
শুষ্ক অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও, নাতিষীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ। এই গাছ চমৎকার পত্র-পল্লব এবং আগুনলাল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য প্রসিদ্ধ। কৃষ্ণচূড়া গাছের লাল, কমলা, হলুদ ফুল এবং উজ্জল সবুজ পাতা একে অন্যরকম দৃষ্টিনন্দন করে তোলে।

কৃষ্ণচূড়া মাদাগাস্কারের শুষ্ক পত্রঝরা বৃক্ষের জঙ্গলে পাওয়া যায়। যদিও জঙ্গলে এটি বিলুপ্ত প্রায়, বিভিন্ন বিশ্বের অঞ্চলে এটি জন্মানো সম্ভব হয়েছে। সৌন্দর্য বর্ধক গুণ ছাড়াও, এই গাছ উষ্ণ আবহাওয়ায় ছায়া দিতে বিশেষভাবে উপযুক্ত।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের রং উজ্জ্বল লাল। পত্র ঝরা বৃক্ষ, শীতে গাছের সব পাতা ঝরে যায়। বাংলাদেশে বসন্ত কালে এ ফুল ফোটে। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফোটার সময় বিভিন্ন। ফুলগুলো বড় ৪টি পাপড়ি যুক্ত। পাপড়িগুলো প্রায় ৮ সেন্টিমিটারের মত লম্বা হতে পারে।

কৃষ্ণচুড়া জটিল পত্র বিশিষ্ট এবং উজ্জ্বল সবুজ। প্রতিটি পাতা ৩০-৫০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ২০-৪০ টি উপপত্র বিশিষ্ট। কৃষ্ণচূড়ার জন্মানোর জন্য উষ্ণ বা প্রায়-উষ্ণ আবহাওয়ার দরকার। এই বৃক্ষ শুষ্ক ও লবণাক্ত অবস্থা সহ্য করতে পারে। এই গাছ বাংলাদেশসহ ভারত,  ক্যারাবিয়ান অঞ্চল, আফ্রিকা, হংকং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, দক্ষিণ চীনে জন্মে। কৃষ্ণচূড়া ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

উপকারিতা

১। জ্বর সারাতে: কৃষ্ণচূড়া পাতার রস মধুসহ প্রতিদিন সকালে খেলে জ্বর ভালো হয়।
২। পিত্তবৃদ্ধিতে :কৃষ্ণচূড়া পাতা ভাজা খেলে পিওবৃদ্ধিতে উপকার পাওয়া যায়।
৩। খুশকি দূর করতে: কৃষ্ণচূড়ার ফুল পিষে মাথায় লাগালে খুশকি ভালো হয়।
৪। স্বরভঙ্গ সারাতে :  কৃষ্ণচূড়ার পাতা চিবিয়ে খেলে স্বরভঙ্গ ভালো হয়।
৫। সন্ধিবাতের সমস্যায় :  কৃষ্ণচূড়ার পাতা পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি খেলে সন্ধিবাত ভালো হয়।
৬। শ্লেষ্মার সমস্যায় : কৃষ্ণচূড়া মূলের ছাল গুড়ো করে পানের সাথে চিবিয়ে খেলে শ্লেষ্মাকে তরল করে বের করে দেয়।

বিষয়ঃ রুপচর্চা

Share This Article