সমাবর্তন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী

  নিউজ ডেস্ক:
  প্রকাশিতঃ সকাল ১০:৫৮, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪, ২০ ফাল্গুন ১৪৩০

২০২৩ সালের শুরুর দিকে সমাবর্তনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে  মার্চে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়ে দ্বিতীয় সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু সাবেক রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের মেয়াদ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে শেষ হওয়ায় সমাবর্তনের অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়।

জগন্নাথ কলেজ থেকে ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরুর ১৮ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র একবার। ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সমাবর্তন আয়োজনের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় চার বছর। চার বছরে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সমাবর্তনের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেছেন, ‘চ্যান্সেলর এর অনুমতি সাপেক্ষে এই বছরের অক্টোবরেই সমাবর্তনের কথা ভাবছি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর সূত্র থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের আংশিক শিক্ষার্থী প্রথম সমাবর্তনে অংশ নেন। 

সর্বশেষ তথ্য মতে, বেশির ভাগ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষ করেছেন। সেই হিসেবে ২০১৩ -১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডিধারী প্রায় ১৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী সমাবর্তনের উপযুক্ত হয়েছেন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর ২০২০ সালে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পুরান ঢাকার ধূপখোলা মাঠে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের উপস্থিতিতে ১৯ হাজার শিক্ষার্থী কালো গাউনে সমাবর্তন উদযাপন করেন। জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী এবং তৎকালীন শাখা ছাত্রলীগের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথম সমাবর্তনের আয়োজন করে। যা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লগ্নের ১৫ বছর পরে ২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম সমাবর্তনের তিন বছর পরে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ২০২৩ সালের শুরুর দিকে সমাবর্তনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে  মার্চে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়ে দ্বিতীয় সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু সাবেক রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের মেয়াদ ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে শেষ হওয়ায় সমাবর্তনের অনুষ্ঠান পিছিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। একই সঙ্গে প্রশাসন জানায় নতুন রাষ্ট্রপতি আসলে শিগগিরই দ্বিতীয় সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে। কিন্তু নতুন রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নেয় গত বছরের ২৪ এপ্রিলে। বর্তমান রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের যোগদানের প্রায় ১০ মাস শেষ হলেও দ্বিতীয় সমাবর্তন নিয়ে কোনো প্রস্তুতি নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের। যার ফলে দ্বিতীয় সমাবর্তন নিয়ে অনিশ্চয়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক করে চ্যান্সেলরের অনুমতি সাপেক্ষে এই বছরের অক্টোবরে সমাবর্তন আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


১৬ এপ্রিল থেকে এইচএসসির ফরম ফিলআপ শুরু

উচ্চশিক্ষাকে কর্মমুখী করতে সহযোগিতার আশ্বাস এডিবির

এইচএসসি পরীক্ষা শুরু ৩০ জুন, সময়সূচি ঘোষণা

অবসরের ১০দিন আগে পদোন্নতি পেলেন মাউশির ডিজি

ঈদের পর প্রাথমিকে নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ফল

হাইকোর্ট যা বলেছেন তা আমাদের মানতে হবে : বুয়েট উপাচার্য

ছাত্রলীগ নেতাদের বুয়েটে ঢুকতে দেওয়ায় শিক্ষার্থীর সিট বাতিল

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা আজ

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

আলিম পরীক্ষার ফরম ফিলআপ শুরু ১৬ এপ্রিল, ফি কত?

গলায় ফাঁস দিয়ে পাবিপ্রবি ছাত্রীর আত্মহত্যা

পয়লা বৈশাখ উদযাপন নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা দিল ঢাবি