নাশকতা মামলা: মির্জা ফখরুল-আব্বাসের স্থায়ী জামিন
- বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার স্থায়ীভাবে মুক্ত।
পুলিশের ওপর হামলা ও উসকানি দেয়ার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিন দেন।
আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, মো. সগীর হোসেন লিওন, মো. রায়হান প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির।
গত ৯ জানুয়ারি এ মামলায় জামিনে ফখরুল ও আব্বাস মুক্ত হন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টকে রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
৪ জানুয়ারি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির আজকের দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে রোববার পর্যন্ত মির্জা ফখরুল-আব্বাসের আইনজীবীরা তাদের মু্ক্তির জন্য বিচারিক আদালতে জামিননামা দাখিল করতে পারবেন না বলে আদেশে বলা হয়।
২০২২ সালে ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে সাড়ে চার শতাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পরে বিএনপি ও পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর চার থানায় চারটি মামলা করে পুলিশ।