ইউটিউবের মতো মিষ্টি হলো না চাষীর কমলা !

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১৯, মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২১, ৬ পৌষ ১৪২৮
ক্ষুব্ধ হয়ে কমলা গাছ কেটে ফেলছেন কৃষক
ক্ষুব্ধ হয়ে কমলা গাছ কেটে ফেলছেন কৃষক

ইউটিউবে ভিডিও দেখে নিজের জমানো ও ঋণের মোট সাড়ে চার লাখ টাকা দিয়ে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে চায়না কমলা চাষ শুরু করেছিলেন গোলাম রসুল। তিন বছরের মাথায় গাছ ভর্তি ফলও আসে। কিন্তু বিক্রি করতে গিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তার।

 

জানতে পারেন,বাজারে এ কমলার চাহিদাই নেই। ইউটিউব ভিডিও দেখে যা ভেবেছিলেন, বাস্তবতার তার চেয়ে সম্পূর্ণই ভিন্ন। শুধু গোলাম রসুলই নয়, সেই অঞ্চলের অনেকেই চায়না কমলা চাষ করে এখন পথে বসেছেন। 

চাষিরা জানিয়েছেন, এ কমলার মধ্যে বীজ রয়েছে। এছাড়া গাছেই কমলার রস শুকিয়ে যায়। খেতেও সুস্বাদু নয়। খাওয়ার পর গলায় তেঁতো লেগে থাকে। তাই ক্রেতা এই কমলা কিনতে চায় না। 

জানাগেছে,বছর তিনেক আগে তিনিসদর উপজেলার কৃষি অফিসার তালহা জুবাইর মাসরুরের ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও দেখেন। সেই চ্যানেলে দেখানো হয়, চুয়াডাঙ্গার জীবন নগরের নিধিকুন্ডু গ্রামের ওমর ফারুকের নার্সারিতে একশ’ চায়না কমলার চাষ করে চার লাখ টাকা আয় করেছেন। 

এর দেখাদেখি গোলাম রসুলসহ বেশ কয়েকজন চাষী কমলার চাষ শুরু করেন। কেউ নিজের সর্বস্ব বিনিয়োগ করে, কেউ ঋণ করে শত শত কমলা গাছ লাগিয়েছেন। এখন তারা সবাই লাখ টাকা লোকসান গুনছেন।

ঝিনাইদহেরকালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের কৃষক আসাদ শেখ ১১ কাঠা জমিতেচায়না কমলা চাষ করে তিন লাখ টাকা লোকসান করেন। 

চুয়াডাঙ্গারসাইদুল ইসলামও একইভাবে অনুপ্রাণিত হয়ে চার বিঘা জমিতে চায়না কমলা লাগান। কিন্তু ফল বিক্রি করতে না পেরে ৪ লাখ টাকা লোকসান গুনেন। শেষ পর্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সব গাছ কেটে ফেলেছেন।   

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে, সেই কৃষিকর্মকর্তা জানান, কমলা চাষের বিষয়টি ছিলো ভালোলাগার। সেই ভালোলাগা থেকে ভিডিও প্রতিবেদন করেছি। কিন্তু কাউকে বাণিজ্যিকভাবে চায়না কমলা চাষের পারমর্শ দেইনি। কেউ চাষ করার আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বাণিজ্যিকভাবে এই কমলা চাষেনিরুৎসাহিত করতাম।

Share This Article