আমেরিকার ভুল হামলায় ১০ বছরে ১৩শ সাধারণ মানুষের মৃত্যু!
২০১৬ সালের ১৯ জুলাই সিরিয়ায় একটি ড্রোন হামলা চালিয়ে ৮৫ জন ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছিল মার্কিন বাহিনী। কিন্তু পরে দেখা যায়, সেই হামলায় প্রকৃতপক্ষে মারা গিয়েছিল ১২০ জন নিরীহ গ্রামবাসী।
২০১৭ সালে গোয়েন্দা তথ্যের দোহাই দিয়ে ইরাকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিলো মার্কিন বাহিনী। কিন্তু সেই তথ্য সঠিক ছিল না। ফলে সেই হামলায় নিহত হয়েছিল ৬ জন নিরিহ মানুষ, যাদের মধ্যে মাজিদ মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানও ছিলেন।
এবছর আগস্টে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করে মার্কিন বাহিনী। বলা হয়েছিলো গাড়িতে বোমা বহন করা হচ্ছিল। কিন্তু পরে দেখা যায় যে, নিহত ১০ জনই বেসামরিক মানুষ এবং একই পরিবারের সদস্য।
গত পাঁচ বছরে মার্কিন বাহিনী যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান, ইরাক ও সিরিয়ায় ৫০ হাজারের বেশি হামলা চালিয়েছে। আর এসব হামলায় নিহত হয়েছেন বহু নিরিহ মানুষ। কিন্তু একটি ঘটনাতেও ভুল স্বীকার বা কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি কাউকে ক্ষতিপুরণও দেয়নি।
সম্প্রতি (১৯ ডিসেম্বর) নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার বিষয়টি নিয়মিতভাবেই পাশ কাটিয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের গোপন নথিতেই এমন তথ্য উঠে এসেছে।
পেন্টাগনের গোপন নথি অনুযায়ী, এসব ‘ভুল হামলায়’ গত এক দশকে মধ্যপ্রাচ্যে ১ হাজার ৩০০ জনের বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।
সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিমান হামলার কয়েকটি ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পেন্টাগনের গোপন কিছু নথি সংবাদমাধ্যমটির হাতে আসে।