রাজস্ব আদায়ে আইনকে সহজ করতে হবে: অর্থমন্ত্রী

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৫৭, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২১, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৮
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আইনি প্রক্রিয়া জটিল থাকায় অনেকেই ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে পারছেন না। এজন্য রাজস্ব আদায়ে আইনকে সহজ করতে হবে। প্রয়োজনীয় ফরমগুলোকে সহজতর করে মানুষের কাছে নিয়ে গেলে তারাই ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদানে এগিয়ে আসবেন বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। রাজধানীর কাকরাইলে শুক্রবার আইডিবি ভবনে ‘ভ্যাট দিবস ও ভ্যাট সপ্তাহ-২০২১’ উপলক্ষে মতবিনিময় ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, অনেকেই ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে চান। কিন্তু ভয় পান। তাদের বোঝানো হয়- একবার দিলে আর বের হতে পারবেন না। এটা ঠিক নয়। তাই কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা ভ্যাট আদায় করছেন তাদের বলব, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়িয়ে ভ্যাট আদায় করুন। আপনাদের একটা বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে- যারা শুধু ট্যাক্স দেয় তাদের বেশি চাপ দেবেন না। যারা ভ্যাট-ট্যাক্স দিচ্ছে না, তাদের ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট বলেন, যারা নিয়মিতভাবে মূসক প্রদান করছে তাদের হয়রানি না করে উৎসাহিত করা জরুরি। মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে খাতাপত্র আটক করা, হয়রানি করা, দাবিনামা প্রেরণ, কারণ দর্শানো নোটিশ এবং আতঙ্ক পরিস্থিতির যে অভিযোগ পাওয়া যায় তা স্থিতিশীল ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য সহায়ক নয়। তবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে রাজস্ব ফাঁকি দেয় আমরা তাদের পক্ষে নই। করদাতারা যেন ভ্যাট সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর পায়, সেজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হটলাইন ১৬৫৫৫ পুনরায় কার্যকর করার অনুরোধ জানান তিনি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, করছাড় সব সময় নেতিবাচক নয়। এটা কর্মসংস্থান বাড়ায়। তবে আমাদের করছাড়ও রাখতে হবে। পাশাপাশি করছাড় কমাতে সিলেক্টিভ হতে হবে। তিনি বলেন, রাজস্ব বোর্ডের সক্ষমতা বাড়ানোর কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। রাজস্ব আদায়ে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। জেলা পর্যায় পর্যন্ত করজাল বাড়াতে আমরা কাজ শুরু করেছি।

অনুষ্ঠানে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী ৯টি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা তুলে দেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় উৎপাদন খাত থেকে সম্মাননা পেয়েছে- এরিস্টোফার্মা, স্কয়ার টয়লেট্রিজ ও মায়া বিড়ি ফ্যাক্টরি। ব্যবসায় শ্রেণি থেকে সম্মাননা পেয়েছে- এসএম মোটরস, এমকো বাজাজ ইন্টারন্যাশনাল ও ইউনিয়ন মোটরস। আর সেবা ক্যাটাগরিতে তিন সেরা ভ্যাটদাতা হলো- ইডটকো বাংলাদেশ কোম্পানি, গ্রে অ্যাডভারটাইজিং ও রবার্ট বস (বাংলাদেশ)।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article